কে মুছিবে চোখের জল-হে বীরাঙ্গনা
স্বাধীনতা পেয়েছি, তোমরা পেয়েছ কি?
এ জাতি আজও দিতে শিখেনি সম্মান
নিজেকে অপরাধী মনে হয়, মনের লোকালয়ে।
কিছু প্রশ্ন মনের আবাসস্থলে আনাগোনায়
প্রতিবিম্ব হয়ে দাঁড়ায় কৌণিক কাঁচের দেয়ালে,
নষ্ট প্রতিমার মত শ্রদ্ধা হারায় অজান্তেই
ভাস্কর্য লুটে পড়ে দুষ্ট লোকের প্রাসাদে।
এলোমেলো চুলে কেন ফিরে এসেছিলে
তোমাদের কেন এত স্বদেশ প্রেম,
লক্ষ শহীদের রক্তাক্ত আত্না কাঁদে সবুজের দূর্বাঘাসে
শিশির বিন্দু ঝরে পিপাসিত মাটিতে
তবুও তৃষিত হয় প্রানের আকুলতায়।
শুধু স্বাধীনতার স্বাদ খুঁজি লাল সবুজে
কেন লজ্জা করেনা তাদের মৌনতায়
বিবেকের দরজা কেন বন্ধ? কড়া নাড়িয়ে
হতাশ হয়ে ফিরে আসি বারবার।
হে বীরাঙ্গনা -তোমাদের চোখের জলে
বন্যায় ভাসিয়ে দাও কলঙ্কিত দেশদ্রোহীদের,
অবাঞ্ছিত করেছে যারা, তারা কারা
তোমাদের আত্নচিৎকার শুনতে পাই
আকাশে বাতাসে, দেখি প্রকৃতির সাজে
আজ না হয় কাল এদেশের মানুষ খুঁজবে
তোমাদের, লাল সবুজের পতাকার মাঝে।
আমি লজ্জিত স্বাধীনতার স্মৃতির সামনে
মাথা নুয়ে যায় স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়াই
প্রশ্ন থেকে যায় জাতির কাছে
কেন অবহেলিত বীরাঙ্গনা বিমলারা।
কবি: তারেক হাসান
০৬ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস