আজও শুনি, হায়েনাদের পায়ের আওয়াজ
শুনতে পাই প্রকম্পিত গ্রেনেডের শব্দ
শিহরে উঠে আমার গা, চিৎকার আসে
সেই ভয়ানক রাতের দৃশ্য আমাকে করে স্তব্ধ।।
আমি মূর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকি,
অবুঝের মত কাঁদি
এক মুহূর্তের তাণ্ডবে বাংলার আকাশ হয়েছিল ভারী,
বারুদের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিলো আশপাশের এলাকা
নিথর দেহ গুলো ফেলে পালিয়েছিলো তাড়াতাড়ি।।
কেড়ে নিয়েছিলো অবুঝের প্রাণ,
কি ছিলো অপরাধ তার!
আমি ধ্বংশ করে দিবো তাদের
নিঃশ্বাস নিতে দিবো না বাংলার মাটিতে
সুযোগ পাবেনা তারা আরেক বার বাঁচার।।
কত বুলেটের আঘাত রয়ে গেছে আজও
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ীর প্রতিটি দেয়ালে
লেগে আছে সেখানে কত রক্তের দাগ
মেঝেতে,
আমি নিজেকে কি করে সামলাবো
আমার বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই শুনে।।
কি পেয়েছিস তোরা অবুঝের প্রাণ কেড়ে
বঙ্গবন্ধু কে মেরে?
তোরা কি ভেবেছিস!বাংলার জনতা
তোদের এমনি দিবে ছেড়ে।।
আমি ত্রাস হবো তোদের জন্য,
কেড়ে নিবো প্রশান্তিরর ঘুম
আমি রণাঙ্গন সাজাবো আবার
আমি হবো জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি,
যেখানে আমার বঙ্গবন্ধু লুটিয়ে পড়েছিলো
আজও আমায় তাড়া করে,ঘুমের ঘরে
সেই রক্তাক্ত সিঁড়ি।।
কবি: তারেক হাসান
১১ জুন, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস