***(সংলাপ মূলক কবিতা)***
ভিক্ষুকঃ- আম্মাগো আম্মা দরজা
খোলো বিনা শর্তহীনে,
দুই টুকরা মাংস দিবে আজকে ঈদের দিনে!
কুরবানিওয়ালাঃ- কে আছো গো নক
করেছো এত্তো জোরে জোরে,
দরজা আজি খুলবো নাকো মেহমান যে ঘরে।
ভিক্ষুকঃ- আম্মা আমার একটাই ছেলে
পড়ছে মরণ রোগে,
খেতে চাইলো একটু গোস্ত মা হয়ে
পরলাম তাই ভোগে।
কুরবানিওয়ালাঃ- ক্ষমা করো, মাফ
করে দাও নয়কো পাবে গোস্ত,
বাসায় আজকে দাওয়াত আছে আত্মীয়
স্বজন দোস্ত।
ভিক্ষুকঃ-তোমাদের তো অনেক গোস্ত
করো একটু সঞ্চার,
আমার ছেলে বাঁচবে না গো শরীরে
মরণব্যাধী ক্যান্সার।
কুরবানীওয়ালাঃ- অসুস্থ সে ডাক্তার
দেখাও আমাদের বাসায় কেন?
বাপু এখন চলে যাও গো তুমি নিয়ম কানুন মেনো।
ভিক্ষুকঃ- হাতে ধরি পায়ে পরি ওগো আম্মাজান,
আমার প্রাণের বাছার তরে দুই টুকরা
মাংস দেন।
কুরবানিওয়ালাঃ- তুমি এখন যাবে
নাকি মারবো জোরে ধাক্কা,
মেজাজ কিন্তু গরম আছে ষোল আনা’ই পাক্কা।
ভিক্ষুকঃ- চলে যাচ্ছি মা জননী
ফিরিয়ে দিলে হাত,
কুরবানি টা কবুল হোক করি এই মোনাজাত।
কুরবানিওয়ালাঃ- যাও যাও তুমি চলে
যাও ডিস্টার্ব করো না,
কলিং বেলের আওয়াজ শুনলেও আর
দরজা খুলব না।
ভিক্ষুকঃ- আল্লাহ তুমি কেন মোদের
করলে এত গরীব,
খাস রহমত দিয়েই এদের করো তুমি তারতীব।
কবি: জান্নাতুল ফেরদৌসি নাঈমা
২৭ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ