ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করে তাক লাগালেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী!
প্রবাস ডেস্ক : এক বিস্ময়কর ভাসমান স্বর্গ কাহিনী। ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করে তাক লাগালেন বাংলাদেশি এক বিজ্ঞানী, যা ভূমিতে স্পর্শ করবে না। বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. আতাউল করিম এমন একটি ট্রেনের নকশা করেছেন। তার আবিষ্কৃত এ ধরনের ট্রেন পৃথিবীজুড়ে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে। বিভিন্ন দেশ এই ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের চিন্তা ভাবনা করছে।
২০০৪ সালে ভাসমান ট্রেনের প্রকল্প হাতে নেন আতাউল করিম। দেড় বছরের মাথায় ট্রেনটির প্রোটোটাইপ তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি। যেখানে ওল্ড ড্যামিয়ান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দীর্ঘ ৭ বছর চেষ্টা করেও সফলতা পাননি।
আতাউল করিমের আবিষ্কৃত ট্রেন নামকরা বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন। কিন্তু কোনো খুঁত খুঁজে না পাওয়ায় এটা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সম্পূর্ণ নতুন পাদ্ধতিতে আবিষ্কৃত এই ট্রেনের ডিজাইন করেছেন আতাউল করিম। এই ট্রেনের গঠনশৈলী খুবই আকর্ষণীয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটা চলার সময় ভূমি স্পর্শ করবে না।
ট্রেনটি চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাবলীলভাবে চলবে। এর গতিও অনেক বেশি হবে। অনেকটা বুলেট ট্রেনের মত। জার্মানি, চীন ও জাপানে ১৫০ মাইলের বেশি গতির ট্রেন আবিষ্কৃত হয়েছে।
এগুলোর সাথে আতাউল করিমের ভাসমান ট্রেনের প্রার্থক্য হচ্ছে, ওই ট্রেনে প্রতিমাইল ট্র্যাক বসানোর জন্য গড়ে খরচ পড়ে ১১ কোটি ডলার। আর আতাউল করিমের আবিষ্কৃত এই ট্রেনে খরচ হবে মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ডলার।
ড. আতাউল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এমএস, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএস এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮, ১৯৭৯ এবং ১৯৮১ সালে তার এ অর্জন।
পেশাগত জীবনে আতাউল করিম অত্যন্ত সফল। বর্তমানে তিনি বিশ্বের মেধাসম্পন্ন ৫ হাজার ছাত্র ও গবেষকের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্তত ৬০০টি অনুষদে। ড. করিমের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে ৬টি কলেজ, ২০টি গবেষণাকেন্দ্র, ৬ শ' শিক্ষক এবং ৫ হাজারের বেশি গ্র্যাজুয়েট ও আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী।
১৯ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�