রবিবার, ০৮ মার্চ, ২০২০, ০১:৪২:২৪

পানির নিচে মেয়ে রোশনিকে বুকেই জড়িয়ে রেখেছিলেন বাবা

পানির নিচে মেয়ে রোশনিকে বুকেই জড়িয়ে রেখেছিলেন বাবা

রাজশাহী থেকে : রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বর-কনেবাহী দুটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর এ পর্যন্ত ছয়জনের ম'রদেহ উ'দ্ধার করা হয়েছে। ম'রদেহ দুটি উ'দ্ধারের সময় আবে'গ ধরে রাখতে পারেননি উ'দ্ধা'রকর্মীরাও। পানিতে ডুবে থাকলেও শামীম হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি তার সাত বছরের মেয়ে রোশনি খাতুনকে বুকেই জড়িয়ে রেখেছিলেন।

রোশনিও ধরে ছিলেন বাবাকে। শুক্রবার রাতে রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকার বিপরীতে যেখানে নৌকা ডুবে যায় সেখানেই শনিবার বিকালে তাদের লা'শ পাওয়া যায়। পাশেই পাওয়া যায় ডুবে যাওয়া নৌকাটি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বাবা-মেয়ের লা'শ উ'দ্ধার করে। এমন দৃ'শ্য দেখে আবে'গাপ্লুত হয়ে ওঠেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ বলেন, ছোট্ট মেয়েটার ভ'রসার জায়গা তার বাবা। সেই ভরসাতেই হয়তো মেয়েটা তার বাবাকে ধ'রে ছিল। আর তার বাবাও তাকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। একজন বাবা তার মেয়েকে যে কত ভালোবাসেন তা হয়তো এ দৃশ্যেই বোঝা যায়। এ কথা বলতে গিয়েই কণ্ঠ ভারি হয়ে ওঠে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তার।

প্রিয়তমা নববধূকে হারিয়ে পদ্মাপারে বসে অঝোরে কাঁদছেন স্বামী

নিহ'ত শামিম কনে সুইটি খাতুনের চাচা। সুইটিসহ এখনো তিনজন নিখোঁ'জ। নৌকাডুবিতে শামিমের স্ত্রী মনি খাতুনও (৩০) মা'রা গেছেন। সকালে তার লা'শ উদ্ধার হয়। নৌকাডুবি থেকে প্রাণে বেঁচে আসা এক তরুণীর ভাষ্যমতে, মনি খাতুন সাঁতার কাটতে কাটতে তার ছেলে আলভিকে (১২) উ'দ্ধার করতে যাওয়া ট্রলারে তুলে দেন। কিন্তু নিজে আর উঠতে পারেননি। আর মেয়েকে ধ'রে রেখে উঠতে পারেননি তার স্বামী। এই পরিবারটিতে ছেলে আলভি ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। আলভি অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে