রাজশাহী : হাঁটতে পারে না, এরপরও পরীক্ষা হলে এসে পরীক্ষা দিচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমান শুভ’র বোন রাজিয়া সুলতানা রুমকি। ছোট থেকে কোমরের নিচের অংশ অসাড়। শরীরের শক্তি সেভাবে কাজ করে না। কিন্তু দমে যায়নি রুমকি।
মনের চাওয়া থেকেই রুমকি পৌঁছে গেছে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী রুমকি সোমবার নগরীর সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলের হলরুমে পরীক্ষা দেয়।
রুমকির মা নাজনীন বেগম জানান, রাজশাহী হেতমখাঁ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুমকি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম তার স্বামী। ছোট সরকারি চাকরি করে কোনোভাবে সংসার চালান। রুমকি পড়াশোনায় অনেক ভালো। অনেক আগ্রহ নিয়ে বাড়িতে লেখাপড়া করে। সংসারে অনেক কষ্ট থাকলেও রুমকির লেখাপাড়ায় যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখেন তারা।
তিনি জানান, ছোটবেলায় তার চিকিৎসার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শিক্ষকরা তাকে অনেক ভালোবাসেন। কোথাও সময় নষ্ট করে না সে। সব সময় পড়ার টেবিলেই থাকে।
রুমকি জানায়, লেখাপড়া করে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার ইচ্ছা তার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নামি জায়গায় পড়ালেখা করার রয়েছে। আমি কষ্ট করছি। আমার বাবা-মা কষ্ট করে আমাকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। আমার ইচ্ছা উচ্চশিক্ষিত হব। বিজ্ঞান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব। মায়ের ইচ্ছাতেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়ছি।
রুমকির বাড়ি নগরীর পাঠানপাড়া মোড়ে। তার বাবা খন্দকার হাফিজুর রহমান রাজশাহী জুট মিলসের ট্রাকচালক। মা নাজনীন বেগম গৃহিণী। তার একমাত্র ভাই মোস্তাফিজুর রহমান শুভ রাজশাহী সিটি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
২ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম