শেরপুরে: শেরপুরে নবীনগর ও মীরগঞ্জ এলাকার আওয়ামীলীগ দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মিছিলের কারণে ছড়িয়ে পড়ে চরম উত্তেজনা।
সোমবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শহরের রঘুনাথ বাজারের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার ও তিনানী বাজার কলেজ মোড়ের প্রধান সড়কে পুলিশ কঠিন ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। এতে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় যানঝট। অসহনীয় দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। সংঘর্ষের আশঙ্কায় দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বন্ধ থাকে দোকানপাট।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর জেলা পরিষদে হামলা-মারধরের শিকার হন ২নং ওয়ার্ডের পরিষদ সদস্য নবীনগর এলাকার বাসিন্দা জাকারিয়া বিষু। এ ঘটনায় ২৪ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে জাকারিয়া বিষু জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমানকে দায়ী করেন।
এছাড়া রবিবার নবীনগরের হাজারও আপামোর জনতা এক্যবদ্ধ হয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুমানসহ হামলাকারীদের বিচার দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
রবিবার রাতে মীরগঞ্জ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ সদস্য জাকারিয়া বিষুর ঘটনাকে পূঁজি করে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জাতীয় সংসদদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে ইন্ধনের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়ে মাইকিং করা হয়।
সোমবার দুপুরে শহরের নবীনগর এলাকা থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুমানকে খুনি, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ আখ্যায়িত করে মীরগঞ্জের মিছিল করে। একই সময়ে শহরে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল বের করে রুমান সমর্থকরা।
সোমবার দুপুরে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস