শেরপুর : শেরপুর-১ আসনে গণসংযোগে যাওয়ার পথে গাড়িবহরে হামলার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিক এবং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহরের চকবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ও বিএনপি প্রার্থী মাধবপুর নির্বাচনী কার্যালয়ে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে এ হামলার অভিযোগ করেন।
এদিকে, সদর উপজেলার খাসপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে মঙ্গলবার ভোরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
হরিণধরা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুই আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছেন। বিস্ফোরক মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি হিসেবে জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শওকত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জুন, বিএনপি নেতা হাতেম আলীসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী সানসিলা জেবরিন বলেন, সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি গ্রামে গণসংযোগে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থকরা আমার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় আমার সফরসঙ্গী খালাতো ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনকে আহত করা হয়। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সরাসরি এবং লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, এসব ঘটনার জন্য আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। আমার জীবন থাকা পর্যন্ত, প্রয়োজনে একা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকব। যতই হামলা-মামলা, নির্যাতন আসুক নির্বাচনের মাঠ ছাড়ব না। জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে ব্যালটেই এর জবাব দেবে।
অপরদিকে, বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমান আতিক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী প্রচারের জন্য আমার দুই কন্যা সোমবার বিকেলে লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারে গেলে বিএনপি প্রার্থী সানসিলার নির্দেশে তাদের গাড়িতে হামলা চালানো হয়।
আতিউর রহমান আতিক বলেন, তারা শান্ত শেরপুরকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী ঋণখেলাপির জন্য নির্বাচনে দাঁড়াতে না পেরে তার মেয়েকে দিয়ে নির্বাচনী মাঠে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, সহ-সভাপতি মনিহাজ উদ্দিন মিনাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।