আতিকুর রহমান রকির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আরিফা খাতুনের। তবে তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় উভয়ের পরিবার। একপর্যায়ে পরিবারের অসম্মতিতেই বিয়ে করেন এই প্রেমিক যুগল। দুইমাসেও পরিবার তাদের এই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় আত্মহননের পরিকল্পনা করেন নবদম্পতি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বামী আতিকুর রহমান বিষপান করেন। আর স্ত্রী আরিফা খাতুন গলায় ফাঁস দেন। তবে স্ত্রী বেঁচে থাকলেও স্বামী মারা গেছেন। আজ শনিবার বিকেলে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান রকির সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে নীলফামারী জেলা সদরের সোলায়মান আলীর মেয়ে আরিফা খাতুনের সঙ্গে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। তবে তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে উভয়ের পরিবার অস্বীকার করেন। কিন্তু পরিবারের অসম্মতিতেই দুইমাস আগে বিয়ে করেন তারা।
এরপর নানামুখী চেষ্টার পরও পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় শনিবার দুপুরের দিকে আতিকুর রহমান রকি নিজ বসতবাড়িতেই বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আর সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় একইদিন বিকেল ৪টার দিকে মারা যান তিনি।
এদিকে, স্ত্রী আরিফা খাতুনও নিজ শয়নকক্ষের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায় পরিবারসহ আশাপাশের লোকজন। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আরিফা খাতুন এখন শঙ্কামুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানিয়েছেন।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।