এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শাস্ত্র অনুযায়ী সাধারণত চৈত্র মাসে হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে হয় না। তাই বাংলা ১৪২৯ সালের ২৪ ফাল্গুন বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর জেলা শহরের বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় ধুমধাম করে গভীর রাত পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এত অধিক সংখ্যক বিয়ে এর আগে একই দিনে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়ার কোনো নজির নেই। কতটি বিয়ে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
চলতি বাংলা ১৪২৯ সালের মধ্যে ২৪ ফাল্গুন ছাড়া আর কোনো শুভদিন না থাকায় বৃহস্পতিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়েদের বিয়ের শেষ শুভদিন ছিল। তাই হিন্দু বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অনুসঙ্গ পুরোহিত এবং বাদ্যযন্ত্রীদের চাহিদা বৃহস্পতিবার বেড়ে যায়।
শেরপুর শহরের গৃদানারায়ণপুর মহল্লায় সুস্ময় ভৌমিকের বিয়ে সম্পন্ন হয়। সুস্ময় ভৌমকের ছোট ভাই পাপ্পু ভৌমিক জানান, কনের বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ হলেও; ওই কনে শেরপুর শহরের গৌরিপুরে বোনের বসায় থাকতেন। মাঘ মাসের ৫ তারিখে বিয়ে ঠিক হলেও; ওই মাসে কোনো শুভদিন না থাকায় ২৪ ফাল্গুন বৃহস্পতিবার শুভদিনে বিয়ে দিন ধার্য করে মধ্যরাতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
পাপ্পু ভৌমিক আরও জানান, অধিক সংখ্যক বিয়ে একই দিনে হওয়াতে বাদ্যযন্ত্রীদের চাহিদা বেড়ে যায়। এতে ৮ হাজার টাকার বাদ্যযন্ত্রীদের ১৬ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
শেরপুর শহরের মুন্সিবাজার এলাকার ব্যবসায়ী রবীন্দ্র চন্দ্র দে জানান, আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই চৈত্র মাস। চৈত্র মাসে কোনো বিয়ে হবে না। তাই তড়িঘড়ি করে ফাল্গুন মাসের বিয়ের শেষ দিনটিতে তার মেয়ের বিয়ে দিলেন।
শেরপুরের বিশিষ্ট পুরোহিত কমল চক্রবর্তী শুক্রবার বলেন, বাংলা ১৪২৯ সালের ২৪ ফাল্গুন ছাড়া এই সালে বিয়ের আর কোনো শুভদিন নেই। চৈত্র মাসে হিন্দুদের কোনো বিয়ে হয় না। আর ফাল্গুন মাসের শেষ শুভদিনটিতে বিয়ে না হলে ছেলে-মেয়ের অভিভাবকদের প্রায় দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে। শুভ কাজের দেরি করতে নেই ।
তাই ছেলেমেয়ের অভিভাবকেরা বৃহস্পতিবারের শুভদিনটিকে কাজে লাগিয়েছেন। তবে ওই দিন পুরোহিত ও বাদ্যযন্ত্রীদের কদর একটু বেশিই ছিল। বৃহস্পতিবার কত বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এটার সঠিক পরিসংখ্যান তার জানা নেই বলে তিনি জানান।