নাজমুল হাসান রাজু, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর সদর উপজেলার হেরুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে তার আপন জ্যাঠাতো ভাই শ্রীবরদী উপজেলার চর হাবর গ্রামের গফুর মন্ডলের বখাটে ছেলে আবু হাশেম ওরফে কালা নূরানী (৩০) প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সে প্রস্তাবে মেয়েটি রাজী হয়নি। এরপর স্কুলে যাতায়াতের পথে মাঝে মধ্যেই মেয়েটিকে উত্যক্ত করত কালা নূরানী। অবশেষে গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোববার বিকেলে ছোট ভাইকে নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করা হয়।
ঘটনার তিনমাস পর আজ ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার ভোরে শেরপুর সদর থানার পুলিশ জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ডেফলাই গ্রামের সাদেক আলীর মাষ্টারের বাড়ী থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় বখাটে কালা নূরানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় মামলা করলে কালা নূরানীর বড় ভাই আলিমকে পুলিশ আটক করে। বিক্ষুব্ধ হয়ে ১৯ নবেম্বর অপহৃত মেয়েটির বাবার মুদি দোকান লুট করে তার ভাই মনু, বাদশা ও ভাতিজা শামীমকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সজীব খাঁন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপহরনের পরে মেয়েটিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখে মাসখানেক আগে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাবিন করে বিয়ে করে কালা নূরানী। গ্রেফতারের পর পুলিশকে সে ওই তথ্য জানায়। তিনি বলেন, মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে দুুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস