টাঙ্গাইল: জন্ম থেকে দুই হাত বিকল। তো কী হয়েছে। সমাপনী পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের প্রতিবন্ধী চান মিয়া পা দিয়ে লিখেই জিপিএ-৪.২৫ পেয়েছে। ২০১৬ সালের সমাপনী পরক্ষায় চান মিয়া জেলার ঘাটাইল উপজেলার সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। সে ঘাটাইলের চান্দশী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রতিবন্ধী শিশুটি ঘাটাইল পৌরসভার ২ নং ওর্য়াডের ফজলুল হক ও রত্মা বেগমের ছেলে।
স্বাভাবিক শিশুরা যেখানে পড়ালেখা থেকে নানা অজুহাতে ছিটকে পড়ছে সেখানে একজন প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরে সমাপনীতে পা দিয়ে লিখে জিপিএ-৪.২৫ পেয়েছে। পরীক্ষার সময় কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ প্রতিবন্ধী চান মিয়াকে পরীক্ষা দেয়ার সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিলেন। একটি বেঞ্চের ওপরে পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিয়েছিল সে। পা দিয়ে লিখতে তার কোনো সমস্যা হয় না। তার ফলাফল সেটিই প্রমাণ করে।
চান মিয়ার মা রত্মা বেগম বলেন, চান মিয়া সমাপনী পরীক্ষায় এ গ্রেড পেয়েছে। সে পাস করায় আমি অনেক খুশি। আমার ছেলের জন্য এ পৃথিবীতে কিছু একটা করে যেতে চাই। আমার ছেলেকে কোনো দিন প্রতিবন্ধী হিসেবে দেখিনি। ছেলেকে শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমার চেয়ে তার বাবার অনুপ্রেরণা অনেক বেশি।
সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ফলাফল জানার জন্য কয়েকবার ফোন করেছেন তার বাবা। পাসের খবর পেয়ে তিনিও অনেক খুশি হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের জন্ম থেকে তার দুই হাত বিকল। তাই তাকে পা দিয়েই লিখতে হয়।
ঘাটাইল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভজন চন্দ্র নাথ বলেন, এবছর আমাদের স্কুল থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী পিইসি পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে চান মিয়াও একজন। সে পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিয়েছে। অন্য তিনজনের চেয়ে চান মিয়া নিয়মিত স্কুলে আসতো এবং সে অনেক মেধাবী। সে সমাপনীতে ৪.২৫ পেয়েছে। আমি তার সাফল্য কামনা করছি।-জাগোনিউজ
৩০ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ