টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শরীফুল ইসলাম নামে এক কলেজছাত্র সাশ্রয়ী এবং সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব পরিবেশে ঠাণ্ডাকরণ প্রক্রিয়া (এসি) উদ্ভাবনের দাবি করেছেন।
২০১৭ সাল থেকে তিনি তার এ উদ্ভাবনী নিয়ে কাজ শুরু করে ২০১৮ সালে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন। তিনি তার উদ্ভাবনী প্রযুক্তি মেধা সত্ত্ব চুরি হয়ে যেতে পারে জানিয়ে সেটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়ার কথা বলেন। তার বাড়ি উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চান্দুলিয়া গ্রামে। তিনি এ বছর টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজ থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে এ উপলক্ষে শরীফুল ইসলাম মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে স্থানীয় এমপি মো. একাব্বর হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসম্পাদক তাহরীম সীমান্ত, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন ও মির্জাপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ ও শরীফুলের সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে শরীফুল ইসলাম জানান, তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটি সাশ্রয়ী এবং সম্পূর্ণ পরিবেশ দূষণমুক্ত। যা সিএফসি গ্যাস ছাড়াই ঠাণ্ডাকরণ প্রক্রিয়ায় কাজ করবে। তিনি এর নাম দিয়েছেন শরীফ পিউর কুলিং টেকনোলজি বা এসপিসিটি। এ প্রক্রিয়াটি বিদ্যুৎ বা জ্বালালি সাশ্রয়ী।
তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সিএফসি গ্যাস ব্যবহার করে শীতাতপ যন্ত্রসহ বিভিন্ন ঠাণ্ডাকরণ যন্ত্র তৈরি করা হয়। যা বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরের ক্ষতি করছের। এতে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীতে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ক্যান্সারসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং চোখে অসময়ে ছানি পড়বে। এসব থেকে বাঁচতে তিনি যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন। এছাড়া বর্তমানে এক টন এসিতে যেখানে প্রায় ২ হাজার ওয়াটের বিদ্যুৎ প্রয়োজন সেখানে তার উদ্ভাবিত যন্ত্রে প্রায় ৯০ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয় করবে। মাত্র ১৫০ ওয়াট বিদ্যুতের মাধ্যমে চলবে এবং যন্ত্রটিতে কোনো সিএফসি ব্যবহার প্রয়োজন হবে না। সংবাদ সম্মেলনে শরীফুল তার উদ্ভাবিত যন্ত্রের মেধা সত্ত্ব চুরি হতে পারে বলে পুরো প্রক্রিয়াটি তিনি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে চান।
এ সময় এমপি মো. একাব্বর হোসেন শরীফুলের দেখানো যন্ত্রের বিষয়ে বলেন, তার উদ্ভাবিত যন্ত্রের কথা তিনিও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরবেন। এজন্য তিনি প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।