এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চলমান ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা এবং শহরে নির্মাণকাজ চলমান থাকায় টানা বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়কেও পানি জমেছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
আজ শুক্রবার শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানির নিচে গলির রাস্তা তলিয়ে গেছে। বসতবাড়ির উঠানে পানি ঢুকে গেছে। মানুষ জলাবদ্ধ হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া শহরের দিঘুলিয়া, বৈল্যা, আকুর টাকুর, কোদালিয়া, গোডাউন বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড় থেকে বটতলা সড়কে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। দেখে মনে হচ্ছে, এটি শহরের মধ্যে ছোট একটি খাল। পৌরসভা কার্যালয়, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাব, জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে প্রায় হাঁটুপানি জমে যায়। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ড্রেনের নোংরা পানি মিশে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যাতায়াতকারীরা পড়ছে ভোগান্তিতে।
টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক ও দিনমজুররা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিক দিনের মতো রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে। রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, পেটের তাগিদে রাস্তায় বের হয়েছি। তবে বৃষ্টিতে যাত্রী কম।
শহরের বাসিন্দা চন্দন সূত্রধর বলেন, ‘আমাদের বেতকা এলাকার রাস্তা তলিয়ে গেছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। শহরের প্রায় সব নিম্নাঞ্চলের একই অবস্থা।’
এদিকে জেলার কালিহাতী উপজেলার নরদহিতে ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কয়েকটি বসতবাড়ি ও দোকানপাট। টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সক্রিয় মৌসুমি বায়ু এবং লঘুচাপের প্রভাবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। টাঙ্গাইলে গত ৫ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে ৬ অক্টোবর সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ বছরের সর্বোচ্চ ২৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টি কমে পরিবেশ স্বাভাবিক হতে পারে।’
টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর জানান, শহরে উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হলে তখন বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হবে না।