বরিশাল থেকে : কুয়েত প্রবাসীর বাড়িতে ৩ জন হ'ত্যার ঘট'নায় জ'ড়ি'ত থাকার অভি'যো'গে তার স্ত্রী মিশরাত জাহান মিশুকে গ্রে'ফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার গভী'র রাতে তাকে গ্রে'ফতার করার কথা নি'শ্চিত করেছেন মামলার তদ'ন্ত কর্মকর্তা বরিশালের বানারীপাড়ার থানার ওসি শিশির কুমার পাল।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ওই ৩জন হ'ত্যার দা'য় স্বী'কা'র করে বরিশালের সিনিয়র জুডি'শিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জ'বা'নব'ন্দি দেয় ওই মামলায় গ্রে'ফতা'রকৃত ২ আ'সা'মি মিশুর প'রকী'য়া প্রেমিক জাকির হোসেন ও তার সহযো'গী জুয়েল হাওলাদার। বিচারক মো. এনায়েত উল্লাহ তাদের জবা'নব'ন্দি গ্রহণ করে ওই রাতেই কারা'গারে প্রের'ণের নি'র্দে'শ দেন।
বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল এই তথ্য নি'শ্চিত করেছেন। এর আগে গত শুক্রবার রাতে ওই লো'মহ'র্ষ'ক হ'ত্যাকা'ণ্ডের ঘট'নায় পরদিন শনিবার দুপুরে মিশুর প'রকী'য়া প্রেমিক নির্মাণ শ্রমিক জাকিরকে পুলিশ এবং ওইদিন রাতেই জাকিরের সহযো'গী জুয়েল হাওলাদারকে আ'ট'ক করে র্যাব-৮।
ওই ঘটনায় শনিবার রাতে অ'জ্ঞা'তনা'মাদের আসা'মি করে প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের ভাই সুলতান মাহমুদের দায়ে'র করা হ'ত্যা মামলায় গ্রে'ফ'তার দেখিয়ে রবিবার বিকেলে আদালতে সো'প'র্দ করলে তারা স্বী'কারো'ক্তি'মূলক জ'বা'নব'ন্দি দেয়।
পুলিশ জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে জাকির ওই বাড়ির নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করার সময় কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের স্ত্রী মিশরাত জাহান মিশুর সাথে পরিচয়ের সূ'ত্র ধ'রে পর'কী'য়া প্রেমের সম্প'র্ক গড়ে তোলে। তাদের অ'নৈ'তি'ক সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় প্রবাসী আব্দুর রবের মা মরিয়ম বেগম এবং খালাত ভাই মো. ইউসুফ। এ কারণে তাদের হ'ত্যার পরিক'ল্পনা করে জাকির ও মিশরাত।
সে অনুযায়ী গত শুক্রবার রাতে বাসার অন্যান্যরা ঘুমিয়ে পড়লে ঘরের প্রধান দরজা খুলে রাখে মিশরাত। ওইদিন রাত ১১টার পর জাকির ও তার সহযোগী জুয়েল ওই বাসায় ঢুকে প্রথমে ইউসুফের পা বেঁ'ধে তাকে শ্বা'সরো'ধ করে হ'ত্যা করে। পরে তারা পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা মরিয়ম বেগমকেও একইভাবে শ্বা'সরো'ধে হ'ত্যা করে। দুই হ'ত্যাকাণ্ডের পর ইউসুফের লা'শ বাড়ির সামনে পুকুরের পানিতে ভাসিয়ে দেয় এবং মরিয়মের লা'শ ক'ক্ষ থেকে বেলকুনিতে নিয়ে রাখে।
মিশ'ন শেষ করে তারা মিশরাতের কক্ষে গিয়ে মিশরাতের বি'ব'স্ত্র ছবি তোলে। হ'ত্যার ঘট'না ফাঁ'স করলে ওই ছবি ইন্টা'রনেটে ছড়ি'য়ে দেয়ার ভ'য় দেখা'নো হয় মিশরাতকে। এ সময় পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা প্রবাসীর ভগ্নিপতি শফিকুল আলম ঘুমের মধ্যে কাশি দেয়। শফিকুল দুই হ'ত্যার বিষয়টি টে'র পেতে পারে স'ন্দে'হে তাকেও শ্বা'সরো'ধ করে হ'ত্যা করে তারা।
শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় মরিয়মের কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা প্রবাসীর রবের ভাতিজি আছিয়া ঘুম থেকে জেগে দাদিকে খুঁ'জতে গিয়ে বেলকুনিতে লা'শ পড়ে থাকতে দেখে ডা'ক চিৎ'কা'র দেয়। প্রতিবেশীরা এসে ওই বাড়ি থেকে আরও দুটি লা'শ আ'বি'ষ্কা'র করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘট'নাস্থ'লে গিয়ে ৩টি লা'শ উ'দ্ধা'র করে বরিশাল ম'র্গে পাঠায়। ম'য়'না'ত'দ'ন্ত শেষে গত রবিবার তাদের ম'রদে'হ নিজ নিজ বাড়িতে দা'ফ'ন করা হয়।