শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৯:১৩:০৫

কই সেই পিংকি?

কই সেই পিংকি?

বরিশাল : কই সেই পিংকি, যার হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী মুক্তা আক্তার (৯)।  পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রকৌশলী নুরুল আহাদ রানার স্ত্রী নুসরাত জাহান পিংকি।  তবে পিংকিকে গ্রেপ্তারে মাঠে রয়েছে পুলিশ।

বরিশাল নগরীর কালুশাহ সড়কে নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী মুক্তা আক্তার।  এ ঘটনায় আজ শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।

 এদিকে এ ঘটনায় বিকেলে নির্যাতনকারী কথিত দাদী ফাহিমাকে আটক করা হয়েছে।  এর আগে আটক করা হয় গৃহকর্তা প্রকৌশলী নুরুল আহাদ রানাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, মামলার অপর আসামি প্রকৌশলী রানার স্ত্রী নুসরাত জাহান পিংকিকে আটকের অভিযান চলছে।  তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন তিনি।
 
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার এসআই ও মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন জানান, শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি। মামলায় গৃহকর্তা প্রকৌশলী নুরুল আহাদ রানা, গৃহকর্তী নুসরাত জাহান পিংকি ও কথিত দাদি ফাহিমাকে আসামি করা হয়েছে।  

ঘটনার পরই প্রধান আসামি নূরুল আহাদ রানাকে আটক করা হয়।  আজ শনিবার আটক করা হয়েছে কথিত দাদি ফাহিমাকে।
নির্যাতনের শিকার মুক্তাকে উদ্ধার করে কোতয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে বরিশাল নগরীর কালুশা সড়কের ওই প্রকৌশলীর বাসায় কাজে যোগ দেয় মুক্তা।  বিভিন্ন সময় গৃহকর্তা ও গৃহকর্তী দুজনেই তাকে মারধর করতেন।  

সর্বশেষ শুক্রবার রানা ও তার স্ত্রী নুসরাত পিংকি শিশুটিকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।
২৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে