নিউজ ডেস্ক: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় উদয়পুর রাস্তার মাথা এলাকায় ও হাকিমুদ্দিন এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে প্রতিপক্ষ বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমের কর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় আওয়ামী লীগের ৫ টি নির্বাচনী অফিস ও ৫ টি মাইক্রেবাস ভাঙচুরসহ অন্তত ২০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনায় সাংবাদিকদের মারধর করে ক্যামেরা ছিনতাই করা হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ও দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সকালে ভোলা ২ আসনের বিএনপি প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিনে আসেন। কিন্তু তিনি আসার আগেই সকালে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গণসংযোগ চলাকালে অর্তকিতভাবে বিএনপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিমের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ সময় ২০ টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয়। উদয়পুর রাস্তার মাথা এলাকায় ৫ টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসসহ ৫টি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।
এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতরদেরকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে এশিয়ান টিভি, চ্যানেল এস টিভির ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। মারধর করা হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক নেয়ামতউল্লাহ, এনটিভির সাংবাদিক আফজাল হোসেনকে।
অপরদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম ঘাটে এসে পৌঁছালে পুলিশের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তার বাসায় গিয়ে পৌঁছান।
ভোলা ২ আসনের প্রার্থী আলী আজম মুকুল সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, বিএনপির প্রার্থী দীর্ঘদিন পর এলাকায় শান্তির জনপদ অশান্ত করে তুলেছেন। তিনি কয়েক শত বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করেন। বোরহানউদ্দিন আসার আগেই দৌলতখানে লঞ্চ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনার জন্য আলী আজম মুকুল, হাফিজ ইব্রাহিমকে দায়ী করেন ইসিসহ পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে ভোলা ২ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি শুনেছেন বোরহানউদ্দিনে নেতাকর্মীরা লঞ্চঘাটে জড়ো হলে তাদের উপর প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় ১২ জন আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বোরহানউদ্দিন থানার এসআই মোহাইমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আগুনে পোড়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। তবে এখনো কেউ মামলা করেননি।