ভোলা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এবারের নির্বাচনে বিএনপি ডা. কামালকে ভাড়া করেছে। বিএনপির কোনো নেতা নাই। যে দলের নেত্রী দুর্নীতির মামলায় কারাগারে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা মামলায় পালাতক, যে দলে স্বাধীনতাবিরোধী ও মা বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠনকারী তাদেরকে বাংলার মানুষ দাঁতভাঙা জবাব দেবে ব্যালটের মাধ্যমে।
আজ শনিবার রাতে ভেলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের জৈনপুরী হুজুরের মাঠে পৃথক পথসভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিবাদে বলেন, তাদের বিজয় নাকি ৩০ তারিখ কেউ ঠেকাতে পারবে না। আরে বটা তোদের কোনো ভোটই তো নাই। বাটি চালান দিলেও তো ভোলায় বিএনপির প্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যায় না। আজ নৌকার জোয়ারে ২০০১ এর কথা মানুষ ভোলে নাই।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, বাংলার মানুষ এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। তরুণ সমাজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বুকে ধারণ করে। তরুণ সমাজ ডা. কামালের মতো নীতিহীন না। কতগুলো নীতিহীন ডা. কামালের সাথে এক হয়েছে। তারা আবার একটা জোট করেছে। আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি আওয়ামী লীগ ২৪০ আসন পেয়ে বিজয়ী হবে।
তিনি বলেন, বাংলার মানুস আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আজ মানুষ শান্তি চায়। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আসছে শান্তি, অন্যদিকে চুরি, লুটপাট, আর ধর্ষণ। হাওয়া ভবন, খাওয়া ভবনসহ সব।
মন্ত্রী আরো বলেন, ধানের শীষে পচন ধরেছে। এক্যজোট যে মনোনয়ন দিয়েছে টাকা খেয়ে। সেই টাকার কিছু গিয়েছে লন্ডনে, কিছু মালোয়েশিয়া, কিছু ঢাকায়। একটি সিটের জন্য ৩ জনের কাছে টাকা নিয়েছে। যারা টাকা নিয়ে মনোনয়ন দেয় তাদের প্রার্থী বিজয়ী হবে কিভাবে।
তিনি বলেন, আজ নোকার পক্ষে গণজোয়ার এসেছে। এই জোয়ারে জোয়ারে যারা ২০০১ এর পর অত্যাচার করেছে, নারী নির্যাতন করেচে, বোনকে ধর্ষণ করেছে, ওদের পতন হবে, ওরা ধ্বংস হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোমিন টুলু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, ব্যবসায়ী শহিদুল হক মুকুল মোল্লা, ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন মিয়া, সংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মাস্টারসহ প্রমূখ।