ইলিশে সয়লাব ভোলার মাছ ঘাটগুলো। আগামী ১৪ অক্টোর থেকে শুরু হওয়া মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের আগ মুহূর্তে নাওয়া-খাওয়া ভুলে ধরা আর মোকামে চালান করা নিয়ে ব্যস্ত জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা। শেষ মুহূর্তে মেঘনা তেঁতুলিয়া নদীতে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মেলায় জেলেরা খুশি হলেও মহাজনের ধার দেনা পরিশোধের আগেই আবারো নিষেধা'জ্ঞার কারণে হতাশ অনেকেই। আর নিষেধা'জ্ঞা কার্যকরের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে আশাবাদী মৎস্যবিভাগ।
আর কদিন বাদেই মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধে অবরোধ শুরু হবে। জেলেরা জাল টেনে যা পাচ্ছেন তাই আড়তে রেখে আবার ছুটছেন নদীতে।
বড় ফিশিং ট্রলারগুলো সাগর থেকে ঘাটে ফিরেছেন ইলিশ বোঝাই করে। আর ছোট নৌকা ট্রলারেও ধরা পড়ছে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার ইলিশ। দাম কিছুটা কম হলেও সংখ্যায় বেশি হওয়ায় লাভের পরিমাণ ভালো বলে জানান জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, মা ইলিশ রক্ষা কর্মসূচি সফল করতে অভিযানের আগেই শতভাগ জেলেকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনার দাবি মৎস্যজীবী সমিতির।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি সভাপতি এরশাদ ফরাজি বলেন, জেলেদের যে চাল বরাদ্দ হয়েছে, অবরোধ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই যেন সেটা দেয়া হয়।
সাগরের তুলনা নদীতে ইলিশ কিছুটা দেরিতে আসলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে আশাবাদী মৎস্যবিভাগ। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলাম বলেন, গভীর সমুদ্র ও উপকূলে ব্ব্যাওখারে ইলিশ ধরা পড়ছে। এভাবে হলে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব। চলতি মৌসুমের প্রথম ৩ মাসেই জেলায় ধরা পড়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ।