ভোলা থেকে : ভোলার ভেলুমিয়ায় বৌভাতের অনুষ্ঠানে বসা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত কনের মামা জাফর ও বরের ভাগ্নে নুরে আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩ টায় সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাঘমারা গ্রামের ফরাজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, সম্প্রতি ফরাজি বাড়ির বাসিন্দা মো. ভুট্টোর সৌদি প্রবাসী ছেলে আবু সাঈদের সাথে একই এলাকা সাবেক মেম্বার মো. তারেকের মেয়ে আছমা বেগমের বিয়ে হয়। রোববার দুপুরে বরের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কনে পক্ষের নিমন্ত্রিত অতিথিদের বসা নিয়ে বর পক্ষের লোকজনের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের ৭ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ভেলুমিয়া ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরমধ্যে বর পক্ষের মো. মিজান ও শাহাদাত মোটর সাইকেলে এসে কনের মামা মো. জাফরের (৩৫) বুকে ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয় জাফর। এদিকে আহতদের ভোলা সদর হাসপাতাল আনার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় সন্ধ্যায় জাফর ও নুরে আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
বরের ভাতিজি জামাই মোসলেহ উদ্দিন ও কনের চাচাতো বোন শারমিনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপর আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। এদিকে ঘটনাটিকে অমানবিক উল্লেখ করে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর মিজান ও শাহাদত মোটর সাইকেলে করে এসে জাফরকে ছুরিকাঘাত করে। তাদের দুজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।