এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ভোলা সদর উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় দলের অন্তত ১২ জন আহন হয়েছেন। সংঘাতের জন্য বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী একে অপরকে দায়ী করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক রিয়াজ ও জামায়াতে ইসলামী সমর্থক আবুল বসারের সাথে ফেসবুকে লেখালেখি নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। বিষয়টি এশার নামাজের পর মিমাংসা করার কথা হয়।
এদিকে সন্ধ্যার পর স্থানীয় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী বাজারে মিছিল বের করে। ওই মিছিলকারীদের সাথেই জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল ও মারামারি বাঁধে। এসময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত চার ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে
রাতে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত ইসলামী ভোলা সদর উপজেলা আমির মাওলানা কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, সকালে বিজয় দিবসের মিছিল নিয়ে ফেরার পথে বাক বিতণ্ডার ঘটনায় ভোলায় জামায়াত নেতিকর্মীদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা দুই দফা হামলা চালিয়েছে। রাতে ভেলুমিয়া বাজারে বিএনপি আতর্কিত হামলা চালিয়ে ১০ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে ও ৪-৫ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করেছে। মিছিলকারীরা রাজাকার স্লোগান দিয়ে এ হামলা চালায়।
অপরদিকে ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. হেলাল উদ্দিন জামায়াতের ইসলামীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ভেলুমিয়া বাজারে বিএনপির মিছিলের পেছন থেকে জামায়াতের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এতে রিয়াজ ও মিলন নামের বিএনপির দুই জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
জামায়াতের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় বিভিন্ন জায়গায় এ হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে নির্বাচন বানচাল করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত ও বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলে। এতে উভয় পক্ষ ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।