বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০১:০৯:২৮

'ঘটনাটি সবার কাছে অলৌকিক মনে হয়েছে'

'ঘটনাটি সবার কাছে অলৌকিক মনে হয়েছে'

যশোর : যশোরের মণিরামপুরে মায়ের মৃত্যুর পাঁচ মিনিট অতিক্রম করতে না করতেই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হানুয়ার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা জাহানারা বেগম (৮০) ও ছেলের আব্দুর রহিমকে (৬০) পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে। 

আব্দুর রহিমের ছেলে প্রকৌশলী সোহেল রানা জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার দাদি জাহানারা বেগম মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ঘরের বারান্দায় তার মরদেহ রাখা ছিল। জাহানারা বেগমের ছেলে আব্দুর রহিম অ্যাজমার রোগী ছিলেন। কিন্তু ততটা অসুস্থ ছিলেন না। 

জাহানারা বেগম মৃত্যু শয্যায় থাকায় ছেলে আব্দুর রহিমও মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন। এ জন্য তাকে ঘরে চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। জাহানরা বেগমের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্র ৫ থেকে ৬ মিনিটের মাথায় আব্দুর রহিমও মারা গেছেন।

সোহেল রানা আরও জানান, ছোটবেলা থেকে আব্দুর রহিম তার মা জাহানারা বেগমকে খুব ভালোবাসতেন। জাহানারা বেগম কিছু খেতে চাইলে যত কষ্ট হোক তা এনে দিতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যখন জাহানারা বেগম মৃত্যু শয্যায় তখন আব্দুর রহিম তার পাশে গিয়ে বলেছিলেন, ‘মা, তুমি যাও, আমিও আসছি।’ এরপর জাহানারা বেগম মারা যাওয়ার পরপরই আব্দুর রহিমও মারা যান। ঘটনাটি সবার কাছে অলৌকিক মনে হয়েছে।

ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার রাতে আব্দুর রহিমের মায়ের মৃত্যু হয়। মায়ের শোকে স্ট্রোক করে কিছুক্ষণ পর আব্দুর রহিমও মারা যান। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে