খুলনা : বাল্যকালের প্রেম ভুলতে না পেরে নীরবে ভুল পথে পা রাখল মেয়েটি। মামার বাড়ির পাশের এক কিশোরকে ভালোবেসে ছিল। ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হন তার বাবা-মা।
তাকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বাবা। কিন্তু আবেগি মেয়েটির আবেগি প্রেম ভুল পথে নিয়ে যায়। পরিবারের ওপর অভিমান করে কোনো রকম প্রতিবাদ না করে নীরবেই বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ।
ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির প্রতাপকাটীতে। গত ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে মেয়েটি সবার আজান্তে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
মেয়েটির নাম পূজামনি (১৪)। সে প্রতাকাটীর অসিত মুনিরের মেয়ে।
পারিবার সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়ার নাঙ্গলমোড়া এলাকার মামা পঞ্চানন বিশ্বাসের বাড়ির পাশের এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পূজামনির। তাদের সম্পর্ক পরিবারের কেউই মানতে পারছিল না। এ কারণে বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে মনভাঙার সম্পর্ক চলছিল।
এর কয়েক বছর আগে সপরিবারে ভারতে চলে যায় পূজামনির বাবা। বছর খানেক আগে দেশে এসে অজ্ঞাত কারণে পূজাকে তার মামার বাড়ি নাঙ্গলমোড়ায় রেখে যান। সে সময়ই প্রেমে জড়িয়ে যায় মেয়েটি।
গত ২২ জানুয়ারি পূজার বাবা অসিত মুনি মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিতে ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না মেয়েটি। একপর্যায়ে ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
তার বাবা রাতের খাবার খেতে মেয়েকে ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু মেয়েটি সাড়া দিচ্ছিল না। একপর্যায়ে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায় তার বাবা। পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
৩১ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম