একদিকে টানা বর্ষণ আরেকদিকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাব, তীব্র জোয়ারে ৪-৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে ডুবে গেছে পৌর শহরসহ ১১টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। অবর্ণনীয় দূর্ভোগ, হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী, এ ছাড়া প্রায় তিন শতাধিক মাছের ঘের ও পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভূক্তভোগীরা জানায়, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টির কারণে অস্বাভাবিকভাবে পানি বেড়েছে। এই অঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ি, পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দী পরিবারগুলো দৈনন্দিন কাজ ও রান্নার কাজও করতে পারছেন না।
এ ছাড়া ভারি বর্ষণে পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর, থানাপাড়া, মিরুখালী রোড ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সম্মুখ সড়ক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পৌর মেয়রের নির্দেশে প্রকৌশলীর নেতৃত্বে কয়েকটি দল পানি অপসারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিলন তালুকদার জানান, ‘বলেশ্বর নদ তীরবর্তী মাঝেরচর, খেতাচিরা, উলুবাড়িয়া, ভোলমারা, খেজুরবাড়িয়া, পশ্চিম মিঠাখালী ও মিরুখালী, রাজারহাট বেড়ি বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। দুই দিন ধরে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ।’