শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:০০:৫১

বাংলাদেশে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি

বাংলাদেশে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি

জয়পুরহাট : জয়পুরহাটের ভুটিয়াপাড়া সীমান্তে বিনা উস্কানিতে পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামে বিএসএফ-এর অতর্কিত গুলিতে ১ বাংলাদেশী নিহত এবং আরো ৪ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম সায়েম উদ্দীন, সে পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল বারীর পুত্র।

আহতদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক ও আহতরা জনান, গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে সীমান্তের ২৭৬/৮ সাব পিলার সংলগ্ন এলাকার পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামে সীমানা ঘেঁষা একটি ডোবায় দুই শিশু মাছ ধরতে গেলে বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। এ সময় গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করলে বিএসএফ সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের ২শ’ গজ অভ্যন্তরে ওই গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে।

এ সময় বিএসএফ-এর সীমান্তের ২শ’ গজ অভ্যন্তরে ওই গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এ সময় বিএসএফ-এর গুলিতে সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল বারীর পুত্র সায়েম উদ্দীন, কৃষ্ণ ম-লের ছেলে পরিমল চন্দ্র (৩২), খালেকুলের পুত্র ফারুক হোসেন (২৮), আনোয়ার হোসেনের পুত্র বিদ্যুত (২০), কৃষ্ট ম-লের পুত্র নির্মল (৩৫)সহ ৫ গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়।

তাদের মধ্যে সায়েমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়েমের মৃত্যু হয়। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক আব্দুর রহিম, পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। পরে জেলা প্রশাসক সায়েমের চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা দেন।

জয়পুরহাট-৩ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আব্দুর রাজ্জাক তরফদার জানান- এ ব্যাপারে বিজিবি’র পক্ষ থেকে সন্ধ্যা ৬টায় ভুটিয়াপাড়া সীমান্তে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে এবং ওই সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পতাকা বৈঠক চলছিল।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে