জয়পুরহাট: ঋণ প্রদানের বিনিময়ে এক নারীকে দৈহিক মেলামেশার প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জয়পুরহাটের বেসরকারি একটি (এনজিও) ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে সোমবার (২৮ মে) দুপুরে জয়পুরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে ওই সংস্থার স্থানীয় শাখা ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) বায়েজিদ বোস্তামীর বিরুদ্ধে সদর উপজেলার মঙ্গলবাড়ির পেঁচুলিয়া গ্রামের মিনু আরা নামের এক নারী সদস্য এ অভিযোগ করেন। ঋণের বিনিময়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে এনজিওর স্যার।
সংবাদ সম্মেলনে সবার সামনে অনৈতিক প্রস্তাবের অডিও রেকর্ডও উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনে অভিযোগ উপস্থাপনকালে জয়পুরহাটের স্থানীয় দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল মতিন, প্রতিবেশী রিনা আক্তার, মেহেরুন্নেছা, মর্জিনা বেগম, অভিযোগকারী মিনু আরার স্বামী ওষুধ ব্যবসায়ী সোহেল রানা, আরিফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিনু আরা অভিযোগ করেন, জয়পুরহাটের পার্শ্ববর্তী নওগাঁর ধামরহাট উপজেলার মঙ্গলবাড়ী বাজারে ওই এনজিওর স্থানীয় ব্যবস্থাপক বায়েজিদ বোস্তামীর কাছে ৩০ হাজার টাকা ঋণের আবেদন করেন। এ সময় ঋণ প্রদানের বিনিমিয়ে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের কুপ্রস্তাব দেন।
পরে ওই ব্যবস্থাপক মোবাইল ফোনেও তাকে অশালীন কথা বলে কুপ্রস্তাব দেন। যে কথা মিনু আরা কৌশলে তার মোবাইল ফোনে অডিও (ভয়েজ কল) রেকর্ড করেন।
এ ঘটনায় ধামইরহাট থানায় তিনি ওই ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। কিন্তু এখনো তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। উপরন্ত ওই ব্যবস্থাপক নানাভাবে তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে মিনু আরা অবিলম্বে ওই ব্যবস্থাপককে গ্রেফতারের দাবি জানান।
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ওই ব্যবস্থাপক তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়। পরে এ নিয়ে ব্যবস্থাপক বায়েজিদ বোস্তামী মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে নিজের দোষ ঢাকতে উল্টো মারপিট ও চাঁদা দাবির অভিযোগে তার স্বামীসহ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আসামি করে ধামরহাট থানায় সংস্থার প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দিয়ে একটি মামলা করিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর