 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
জয়পুরহাট : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিনে জন্ম নেয়া চার শিশুর নাম বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতার নামে রাখা হয়েছে। ওই চার শিশুর মধ্যে একজন পুত্র ও তিনজন কন্যাসন্তান।
এ ছাড়া প্রতিটি শিশুর জন্য বিশেষ উপহার (গিফট হ্যাম্পার) প্রদানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দিয়ে প্রশংসিত হয়েছে জেলা পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগ। সে অনুসারে মঙ্গলবার শহরের জয়পুরহাট মা ও শিশু কেন্দ্রে এ দিন জন্ম নেয়া চারটি শিশুকে উপহার হিসেবে দেয়া হয় একটি তোয়ালে, একটি মশারি ও মুজিবর্ষের বিশেষ ক্রেস্ট।
এ ছাড়া এমন দিনে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার নামে চার শিশুর নাম রাখতে পারায় নিজেদের সৌভাগ্যবতী মনে করছেন ওই দম্পতিরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জয়পুরহাট জেলা সদরের জিতারপুর গ্রামের ফরহাদ ইসলামের স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে রোববার রাত ৯টায় সন্তান প্রসবের জন্য জয়পুরহাট জেলা শহরের সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। একইভাবে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঁচবিবি উপজেলার খাস বাগুড়ি গ্রামের জীবন রায়ের স্ত্রী মমতা রায়কে সোমবার সকাল ১০টায়, আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর চৌমুনী গ্রামের লিটন মিঞার স্ত্রী পিয়া আক্তারকে সোমবার সন্ধ্যায় ও নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার জয়পুরহাট সদরের জাহানপুর গ্রামের আবু সুফিয়ানের স্ত্রী কুমকুম আক্তারকে শুক্রবার ভর্তি করা হয়।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চার দম্পতি চার ফুটফুটে শিশুর জন্ম দেন। এদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুফিয়ান-কুমকুম দম্পতির নবজাতক পুত্রসন্তানের নাম রাখা হয় মুজিবুর রহমান এবং অপর তিন দম্পতির কন্যাশিশুদের নাম রাখা হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার ডাক নাম রেনু নামে।নবজাতক শিশুদের মায়েরা জানিয়েছেন, শেখ মুজিবের জন্মদিনে জন্ম নেয়ায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার নামানুসারে শিশুদের নাম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে দুপুরে এ কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে নবজাতকদের অভিভাবকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেন জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন। ওই সময় সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা, জেলা পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. কাজী মোহাম্মদ জোবায়ের গালীবসহ অন্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা (সাংবাদিক) উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা. কাজী মোহাম্মদ জোবায়ের গালীব সাংবাদিকদের জানান, ১৭ মার্চ রাত ১২টার আগে জেলায় যত শিশু জন্ম নেয়, তাদের প্রত্যেককে উপহার হিসেবে একটি করে তোয়ালে, মশারি ও মুজিববর্ষের ক্রেস্ট দেয়া হয়।
ডা. কাজী মোহাম্মদ জোবায়ের গালীব আরও বলেন, যদি কোনো ছেলেশিশুর জন্ম হয়, তবে ওই শিশুর নাম ‘মুজিব’ রাখার ব্যাপারে তার পরিবারকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
জয়পুরহাট জেলা পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এ দিন জন্ম নেয়া শিশুর (নবজাতকদের) মা-বাবাসহ জেলার সুধীমহল।