জয়পুরহাট: করোনাভাইরাস শনাক্তের পর জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশন ইউনিটে ছয়জনকে রাখা হয়।
এদের মধ্যে কালাই উপজেলার জিন্দারপুর গ্রামের দুই ব্যক্তি রয়েছেন। তারা দুইজন গতকাল শনিবার থেকে (২৫ এপ্রিল) রোজা রাখতে শুরু করেছেন। রোববারও (২৬ এপ্রিল) রোজা রেখেছেন তারা। এর মধ্যে ৪৭ বছরের এক ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে রিকশা চালাতেন; অপরজন (৪২) সবজির ব্যবসা করতেন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়িতে আসার পর নমুনা পরীক্ষা করা হয় তাদের। করোনা পজিটিভ আসার পর থেকে গোপীনাথপুরের আইসোলেশন ইউনিটে আছেন তারা। পাশাপাশি পাঁচবিবি উপজেলার ছোট মানিক এলাকার নারায়ণগঞ্জফেরত যুবক (৩৩), একই উপজেলার পূর্ব কড়িয়া বটতলী এলাকার নারায়ণগঞ্জফেরত পোশাককর্মী (৪৩), কালাই উপজেলার দক্ষিণ পুনট পাঁচগ্রামের বাসিন্দা গাজীপুরফেরত পোশাককর্মী (২০), আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর বিষ্ণপুর গ্রামের ঢাকাফেরত যুবককে (২৪) গোপীনাথপুরের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে।
গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট হেলথ টেকনোলজি আইসোলেশন ইউনিটের ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, গোপীনাথপুর আইসোলেশন ইউনিটে ২২ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ছয়জন করোনায় আক্রা'ন্ত। বাকি ১৬ জন আক্রা'ন্তদের সংস্পর্শে আসা আত্মীয়-স্বজন। এদের মধ্যে দুইজন করোনা রোগীসহ আরও ১৬ জন প্রথম রোজা রেখেছেন। দ্বিতীয় রোজাও রেখেছেন তারা।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শ্যামল চট্টোপাধ্যায় বলেন, জেলায় ১৩৬০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এর মধ্যে ৫৫৪ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮৩৫ জনের নমুনা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯০ জনের রিপোর্ট এসেছে। ছয়জনের পজিটিভ এসেছে বাকিদের নেগেটিভ এসেছে। চারজনের রিপোর্ট আসেনি।
আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিউল ইসলাম বলেন, আইসোলেশনে থাকা দুইজন করোনা রোগী সুস্থের দিকে রয়েছেন। তারা রোজা রাখছেন বলেও জেনেছি। করোনায় আক্রা'ন্ত হলেই যে মৃ'ত্যু এটা সঠিক নয়। ভ'য় পাওয়ার কিছু নেই। বিশ্বে করোনায় আক্রা'ন্ত ৯৫ ভাগ রোগী সুস্থ হচ্ছে। সরকার যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। তাহলেই সুস্থ হয়ে যাবে।
জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন সেলিম মিঞা বলেন, দুইজন করোনা রোগী সুস্থ হওয়ার কারণে তাদের নমুনা পুনরায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। করোনা নিয়ে আতঙ্কি'ত হওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। বাইর থেকে ঘরে ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে হাত পরিষ্কার করুন। জামা-কাপড় ও ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
তিনি বলেন, কালাইয়ের দুইজন করোনা রোগী রোজা রাখছেন। ধর্মীয় ব্যাপারে তো আমরা নিষেধ করতে পারি না। তারা যদি রোজা রেখে সুস্থ বোধ করেন রোজা রাখতে পারেন।