জয়পুরহাট: মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত ৭ বছরের শিশুটি অবশেষে করোনা যু'দ্ধে জয়লাভ করে সুস্থ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে গেল। শিশুটি বাড়ি ফেরায় পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশীরাও আনন্দিত।
সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, করোনা আক্রা'ন্ত শিশুটি দরিদ্র পিতা-মাতার ও ভাই বোনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ থাকতো। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে লকডাউন ভে'ঙে সকলেই জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের হেলকুন্ডা গুচ্ছগ্রামে চলে আসে। ২৮ এপ্রিল স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন খবর পেয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। একদিন পরে খবর আসে পরিবারের সকল সদস্যের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও শিশুটির পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। এ নিয়ে ছেলের চিন্তায় যেন আকাশ ভে'ঙে পড়ে পরিবারটির উপরে। তখন দি'শেহারা পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে ইউএনও’র নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তুলশী চন্দ্র রায়, পুরানাপৈল ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম শিশুটির পরিবারে গিয়ে বুঝিয়ে আইসোলেশনে রাখতে রাজি করানো হয়।
গোপিনাথপুরের হেলথ এন্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের আইসোলেশনে শিশুটিকে নেয়া হলেও মনোবল ঠিক রাখার জন্য পাশে আলাদা কক্ষে রাখা হয় বাবাকে। সেখানে খেলাধুলার মধ্যে রেখে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। শিশুটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় স্বজন সহ প্রতিবেশীরাও আনন্দিত। এ ছাড়াও আরও তিন জনকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনা মুক্ত হলো ২৯ জন।
এদিকে জেলায় মোট করোনা শনা'ক্ত হয় ৮৬ জনের শরীরে। অপরদিকে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টায় ঢাকা আইইডিসিআর থেকে ১০১ জনের পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। যা সব গুলো নেগেটিভ বলে জানান, সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা।