কাঁদলেন, কাঁদালেন
জয়পুরহাট প্রতিনিধি : নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণায় কান্নায় ভেঙে পড়েন কর্মীরা। তাদের বুকে নিয়ে সান্ত্বনা দেন কালাইয়ের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান কাজল।
জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভা নির্বাচন থেকে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র পদপ্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান কাজল। গত সোমবার সন্ধ্যায় কালাই উপজেলা পরিষদ চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মী-সমর্থকদের সামনে তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
তার এমন ঘোষণায় কর্মী-সমর্থকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তিনি তাদের শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ জানান।
জানা গেছে, কালাই পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করতে দীর্ঘদিন ধরে গণসংযোগ চালিয়ে আসছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর সাজ্জাদুর রহমান কাজল। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ার আশঙ্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নামেন তিনি।
পরে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে চাপ দেন। কিন্তু তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় তাকেসহ তার তিন অনুসারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও গণসংযোগ চালিয়ে যান তিনি। এ সময় তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, পোস্টারে আগুন দেয়াসহ তার কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হয়।
পরে এ নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সাজ্জাদুর রহমান কাজল। গত রোববার রাতে জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে কালাই থানায় ডেকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখান থেকে ফিরে সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন কাজল।
সাজ্জাদুর রহমান কাজল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমি ছোটবেলা থেকে আওয়ামী লীগ করছি, আছি এবং থাকব।
এ ব্যাপারে তার কয়েকজন কর্মী-সমর্থক জানান, প্রচারণার শুরু থেকেই তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করেছে। পুলিশের ভয়ে অনেক কর্মী বাড়ি-ঘরে থাকতে পারেনি। এসব কারণে শেষ মুহূর্তে কাজল সরে দাঁড়িয়েছেন।
৩০ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম