জয়পুরহাট : জয়পুরহাট সদরের একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান একে আজাদ হত্যা মামলার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, জেলা সদরের ভাদসা ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান একে আজাদ গত ৪ জুন রাতে একই উপজেলার দূর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি কোঁচকুঁড়ি গ্রামে ফিরছিলেন। গ্রামের কাছাকাছি একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে মারাত্মক আহত করে। ওই সময় তার আত্মচিৎকার শুনে নয়ন কুমার বর্মন নামে এক পথচারী এগিয়ে গেলে তাকেও গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
গুরুতর আহত দুজনকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার পেটে অস্ত্রপাচার শেষে আইসিইউতে রাখার পর গত শুক্রবার তাকে পপুলার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত রোববার (১২ জুন) ভোর ৬টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত আজাদ সদর উপজেলার কোচকুড়ি গ্রামের মৃত ইসহাক আলীর ছেলে। তিনি ২য় ধাপের নির্বাচনে ভাদসা ইউপি থেকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রথমবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এ ঘটনায় কদিন আগে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
১৪ জুন, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম