এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষেতের বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কায় কুড়িগ্রামের কৃষক। এরই মধ্যে ক্ষেতের ধান নুয়ে পড়েছে। ভয়ে জমির আধাপাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন অনেকেই। আর সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় কাঁচা ধানের মালিকরা।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় কৃষকদের পাশে থাকতে বাতিল করা হয়েছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি।
গত এপ্রিলে শেষ সপ্তাহে হঠাৎ করে কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে মাটিতে লেপটে গেছে ক্ষেতের ধান। যেকোনো সময় বয়ে যেতে পারে শিলাবৃষ্টিও। তাই জমির আধাপাকা ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক।
চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৬২ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে উচু এলাকার বোরো ধান পাকা শুরু করলেও এখনও মাঠের পর মাঠ কাঁচা পড়ে আছে নিচু এলাকার বোবো ক্ষেত। এ অবস্থায় বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকার অনেক ধান ক্ষেত। ফলে আকাশের পরিস্থিতি বিবেচনায় তড়িঘড়ি করে মাঠের আধা-পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকরা। আর যাদের ক্ষেতের ধান এখনও কাঁচা বিপাকে পড়েছেন তারা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার টগরাইহাট এলাকার কৃষক রহিম মিয়া বলেন, ‘ধান পুরোপুরি না পাকলেও কেটে নিচ্ছি। আকাশের পরিস্থিতি ভালো না। যে কোনো সময় ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি এ হতে পারে। এ কারণে অর্ধেক কাঁচা থাকলেও ধান কেটে নিচ্ছি।’
জেলার রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের কৃষক বলেন, ‘আমি ৫ বিঘা জমিতে রব্বানী জানায়, আমার ২০ শতক জমির ধান মাটিতে পড়ে গেছে। কাঁচা ধান পড়ে গেলে আর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।’
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ মৌসুমে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ক্ষেতের ৮০ ভাগ ধান পেকে গেলেই কেটে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এজন্য কৃষকদের পাশে থাকতে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিলের কথা জানায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা।
জেলায় এখন পর্যন্ত কাটা হয়েছে ক্ষেতের ১১ ভাগ ধান। আর কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে ২৭০ হেক্টর জমির ধান ক্ষেত।’