আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট থেকে: শাকিব-আল-হাসান। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া আর্দশ কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। তারপরও হতাশাতে পড়ে আছে শাকিব-আল-হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখলে সেই স্বপ্নে প্রতিবন্ধীকতা সৃষ্টি করেছে অভাব। বাবা নেই, বড় ভাই দিন মজুরী করে তাকে এইচএসসি পাশ করালেও থেমে যেতে বসেছে তার লেখাপড়া। শাকিব-আল-হাসান ওই উপজেলার দইখাওয়া এলাকার মৃত শাহিদুল ইসলামের পুত্র।
শাকিব-আল-হাসান বলেন, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেলেও এখন আমার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার পথে। আমার বন্ধুরা অনেকেই ঢাকা ও রংপুরে গেছেন কোচিং করতে। আর আমাকে হয়তো ঢাকা যেতে হবে গার্মেন্টসে চাকুরী করতে। আমার অনেক ইচ্ছা ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে আইন বিভাগে লেখাপড়া করে একজন আইনের সেবক হবো। কিন্তু বাবা নেই, দিনমজুর ভাইয়ের পক্ষে আমাকে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করানো মোটেও সম্ভব নয়।
শাকিব-আল-হাসানের মা ফরিদা বেগম বলেন, শাকিবের বয়স যখন ৩ মাস, তখন তার বাবা মারা যায়। ৪ ছেলে মেয়েকে বাঁচাতে আমি নিজে দিন মজুরের কাজ করি। এখন আমার শরীরে আগের মত আর শক্তি নেই। তাই বড় ছেলের দিন মজুরী আয়ে আমাদের সংসার চলে। শাকিবকে লেখাপড়া করতে চাই। কিন্তু অভাবের কারণেই তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
হাতীবান্ধা দইখাওয়া আর্দশ কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, শাকিব-আল-হাসান লেখা পড়ার পাশাপাশি ক্রিকেট, সাধারণ জ্ঞান, স্কাউটে সফলতা অর্জন করেছে। আজ অভাবের কারণে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। শাকিব সহযোগিতা পেলে সে তার স্বপ্ন পুরুন করতে পাবে। সেই স্বপ্ন পুরুন হলে হয়তো বা দেশ ও জাতি তার মাধ্যমে একদিন উপকৃত হবেন।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস