রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২, ০৩:১১:৫০

৭ ঘণ্টার ব্যবধানে একই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা ৪ জনের মৃত্যু

৭ ঘণ্টার ব্যবধানে একই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা ৪ জনের মৃত্যু

নওগাঁ : নওগাঁর মহাদেবপুরে একই সড়কে পাশাপাশি স্থানে মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় বাবা ও শিশু সন্তান এবং স্বামী-স্ত্রীসহ মোট ৪ জনের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত শিশুর মাসহ মোট তিনজন।

পৃথক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভেবরা গ্রামের রথিদ্রনাথ মন্ডল (২৯) ও তার তিন বছর বয়সী শিশু সন্তান রাধাগোবিন্দ ওরফে রিদয়।  

এছাড়া নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন, মান্দা উপজেলার নিচ কুলিহার গ্রামের আব্দুল খালকের ছেলে শিমুল হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী জেনিয়া আক্তার (২২)।

আহতরা হলেন- নিহত শিশুর মা পূজারানী (২১) ও মহাদেবপুর উপজেলার পাতনা গ্রামের জলিলের ছেলে ফাইম হোসেন (২২) ও ফাইম হোসেনের স্ত্রী মোছা. রিয়া আক্তার (১৯)।

স্থানীয়রা জানান, মান্দা উপজেলার ভেবরা গ্রামের রথিন্দ্রনাথ তার স্ত্রী পূজারানী ও তিন বছর বয়সী ছেলে সন্তান রাধাগোবিন্দ ওরফে রিদয়কে সঙ্গে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রাম থেকে একটি মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি মান্দা উপজেলার ভেবড়া গ্রামে ফেরার পথে শনিবার ১৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে রানীপুকুর- ‘বেলি ব্রিজ’ বলিহার ব্রিজের মাঝামাঝি শিকারপুর নামক স্থানে পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। 

এসময় গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা বাবা-মা ও শিশু সন্তানসহ অপর মোটরসাইকেলের আরোহী স্বামী ফাইম হোসেন ও তার স্ত্রী মোছা. রিয়া আক্তার, মোট ৫ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠালে দায়িত্বরত চিকিৎসক বাবা ও শিশু সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন।

নওগাঁ সদর হাসপাতালে বাবা ও শিশু সন্তানের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পরই দায়িত্বরত চিকিৎসক বাবা ও শিশু সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহত তিনজনের মধ্যে গুরুতর জখম অবস্থায় ফাইম হোসেন কে রাজশাহী ‘রামেক’ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। অপর আহত পূজারানী ও মোছা. রিয়া আক্তার নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এর পূর্বে একইদিন দুপুরে মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে একই সড়কের পাশাপাশি এলাকার খোর্দ্দনারায়নপুর ‘লাটাহার’ ব্রিজ নামক স্থানে সাইড থেকে হঠাৎ করে একটি মাটিবাহী ট্রাক্টর সড়কে উঠায় একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের নিচে পড়ে পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে শিমুল হোসেন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জেনিয়া আক্তারের মৃত্যু হয়।

একদিনে মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে একই সড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় বাবা ও শিশু সন্তান, স্বামী ও স্ত্রী, মোট ৪ জনের মৃত্যুসহ তিনজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে