এমটিনিউজ ডেস্ক: অবশেষে জেলের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ! ‘এবার ইলিশ ভালোই ধরা পড়তেছে। কেউই খালি হাতে ফিরছে না। ইলিশের সাইজ বাড়ছে যে হেইডাও বোঝা যাইতেছে। তয় ছোট-বড় সব সাইজের ইলিশই ধরা পড়ছে।’ সাগর থেকে ফিরে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মাঝি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এসব কথা বলছিলেন।
কথা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গতকাল তিনি গভীর সাগরে গিয়ে জাল ফেলেন। তাঁর জালে ৫০ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। এক, দেড় ও দুই কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছে বেশি। তবে এর চেয়ে ছোট আকারের ইলিশও ধরা পড়েছে তাঁর জালে। তিনি ৫০ মণ ইলিশ ডাকে ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।
গত দুই দিনে সাগর থেকে ধরা পড়া ইলিশের পরিমাণ বাড়ায় পটুয়াখালী উপকূলের কুয়াকাটা, মহিপুর, আলীপুর, খালগোড়া এলাকার আড়তগুলো কেনা-বেচা জমে উঠেছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মাছের মোকাম হিসেবে পরিচিত মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরের আড়তগুলোতে মাছ আসছে অনেক। ৬৫ দিনের অবরোধ উঠে যাওয়ার পর জেলেরা সাগরে নামতে না নামতেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পড়ে কূলে ফিরে আসেন। আবহাওয়া অনুকূলে আসার পর জেলেরা আবার সাগরে ফিরে যান। এবার সবাই কম-বেশি ইলিশ নিয়ে কূলে ফিরছেন।
সাগরের কূলঘেঁষা এসব আড়তে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও কলাপাড়া পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার মাছবাজার, এতিমখানা মোড় ও নিশানবাড়িয়া ব্রিজ-সংলগ্ন মাছের সন্ধ্যা বাজারে সেভাবে ইলিশ দেখা যাচ্ছে না। স্বল্প পরিমাণে ইলিশ এসব বাজারে উঠলেও দাম অনেক বেশি বলে ক্রেতাদের দাবি।
মাছের আড়তদারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এবার ৮০০ গ্রাম, ৯০০ গ্রাম ও ১ কেজি আকারের ইলিশ ৪৭ থেকে ৪৮ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি ২০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম আকারের ইলিশ ৬০ থেকে ৬১ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।