শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১, ১০:৪৬:৫৯

পরিচিত ভাবীর বাসায় গিয়ে যায় শীলা, লজ্জায় বিকাশে ৩৫ হাজার টাকা দেন ওই শিক্ষক

পরিচিত ভাবীর বাসায় গিয়ে যায় শীলা, লজ্জায় বিকাশে ৩৫ হাজার টাকা দেন ওই শিক্ষক

এক ভয়ঙ্কর প্রতারক চক্রের সন্ধান পেল গোয়েন্দ পুলিশ। রংপুর শহরে বাসায় ডেকে নিয়ে জোর করে বিভিন্ন নারীর সাথে তাদের আপত্তিকর ছবি তুলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে নগরীর কটকিপাড়া পিটিআই রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে শাহিনা ওরফে শীলা আক্তার ওরফে ঈশা এবং মো: মমিন নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ৪.৪৫ মিনিটে সেন্ট্রাল রোডের ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ তথ্য জানান মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।

তিনি জানান, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্ত্রীকে ডেন্টিস্ট দেখাতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। এসময় প্রতারক চক্রের সদস্য শাহিনা বেগমের সাথে তার পরিচয় হয়। প্রতারক নিজেকে নার্স হিসেবে পরিচয় দিলে ওই শিক্ষক তার ডান হাতে ব্যথার কথা জানান।পরে ওই প্রতারক রংপুরে ভাল ডাক্তার দেখানোর কথা বলে ফোন নাম্বার বিনিময় করেন। পরে ওই শিক্ষকের সাথে তার প্রায়ই কথা হত। 

গত ১১ আগস্ট মোটরসাইকেল মেরামতের জন্য সৈয়দপুরে আসলে প্রতারক শাহিনা তাকে ডাক্তার দেখাতে ডেকে পাঠান। পরে তিনি বাসযোগে রংপুরে আসলে প্রতারক বলে ডাক্তার বসতে একটু দেরী হবে ততক্ষণে আমরা পাশেই আমার পরিচিত ভাবীর বাসায় গিয়ে রেস্ট করি। সেই বাসায় গেলে অন্য আসামি মোমিন ও ২-৩ জন বাসায় ঢুকে অন্য মেয়েদের সাথে তার ছবি তুলে ৫ লাখ টাকা দাবি করে তা নাহলে এই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে লজ্জায় বাধ্য হয়ে বিকাশে ৩৫ হাজার টাকা দেন ওই শিক্ষক।এরপর ১৯ আগস্ট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই চক্রগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে পরিচিত হয়ে ফাঁদে ফেলে টাকা আত্নসাৎ করত। তাদের মূলোৎপাটনে কাজ চলছে এবং অপরিচিতজনের বাড়িতে না যেতে অনুরোধ জানান তিনি। আসামিদের বিরুদ্ধে মহানগর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে