রাহিব ফয়ছল, সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট বিভাগের এক কোটি মানুষসহ গোটা বাংলাদেশের অনেক বড় একটা অংশের চিকিৎসা সেবার ভরসাস্থল সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কিন্তু অসহায় রোগীরা কতটুকু সেবা পাচ্ছেন সেখানে? এপ্রশ্ন দীর্ঘ দিনের। সেবা পেতে ভোগান্তি সহ নানান কারনে মানুষ ধিরে ধিরে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সরকারী এই হাপাতাল থেকে। আর এক শ্রেনীর অসাধু ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালের সাথে আতাত করে মানুষকে সেবা থেকে বঞ্চিত রাখছেন এমন অভিযোগও বেশ পুরনো।
হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ১৬ ওয়ার্ড। যেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন হার্টের রোগীরা। এই ওয়ার্ডটিতে রয়েছে পিসিসিইউ ইউনিট। এখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয় রোগীদের। সঙ্গত কারনেই নিরাপত্তাকর্মীরা রোগীর আত্মীয়স্বজনদের প্রবেশে করেছেন বেশ কড়াকড়ি।
বৃহষ্পতিবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট। পিসিসিইউ ইউনিটের একপাশে টেবিলের উপর দুইটি মনিটর রাখা। মনিটরের পাশের বসে আছে দুইটি বিড়াল। হঠাত করেই বিকট শব্দে শুরু হলো বিড়ালদের ঝগড়া। আতংকিত হয়ে পড়েন এই ইউনিটে থাকা হার্টের রোগীরা। পাশের টেবিলেই বসা ছিলেন হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা। কিন্তু তারা বিড়ালদের ঝগড়া থামাতে এগিয়ে আসেননি।
প্রায় ৭/৮ মিনিট বিকট শব্দে ঝগড়ার পর রোগীর স্বজনরাই উদ্যাগ নেন বিড়ালদের ঝগড়া থামানোর। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা ছিলেন দর্শকের মতো। তারা যেন বসে বসে বেশ মজাই পাচ্ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুন এই ইউনিটে ভর্তি এক রোগীর স্বজন জানান, তিনি হাসপাতালে আসার পর থেকেই বিড়ালদের এমন উৎপাত দেখতে পাচ্ছেন কিন্তু কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যেখানে বিড়ালের সংখ্যা এক দুটা নয়, প্রায় ১০/১৫টি বিড়াল সব সময়ই চোখে পড়ে।
ডাক্তাররা যখন ভিজিট করতে আসেন তখন অনেক সময় রোগীর স্বজনরা এসব ব্যাপার ডাক্তারদের অবগত করলেও কোন কাজে আসেনি। অনেক সময় ডাক্তাররাও নাকি হাসাহাসি করে উড়িয়ে দেন। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচাকের সাথে যোগাযোগ করা হলেও উনাকে অফিসে পাওয়া যায়নি।
১২ জানুয়ারী ২০১৭/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/এইচএস/কেএস