সিলেট থেকে: সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা 'আতিয়া মহলে' বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়েছে।
শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে এই বিস্ফোরণের পর থেকে তুমুল গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে সেনা বাহিনীর প্যারা কমান্ডো বাহিনীর নেতৃত্বে 'অপারেশন টোয়াইলাইট'র মাধ্যমে অবরুদ্ধ সবাইকে উদ্ধার করা হয়। অভিযান সূত্রে জানা গেছে, আতিয়া মহলের দ্বিতীয় থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত বসবাসকারী ২৮টি পরিবারের ৬৯ জন সদস্যকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
এরপর প্যারা কমান্ডোরা নিচতলায় অবস্থান করা জঙ্গিদের কক্ষ ঘিরে রাখে। তাদের শেষবারের মতো আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। এতে সাড়া না দেয়ার পরই বেলা ২টার দিকে মূল অভিযানে যায় প্যারা কমান্ডোরা। এর আগে অভিযানের সমন্বয়কারী সেনা বাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এসে সাংবাদিক ও অন্যান্য লোকদের নির্ধারিত এক কিলোমিটার থেকে আরও ১শ' হাত দূরে সরে যেতে বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, 'ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদে উদ্ধারের পর জঙ্গিদের আত্মসমর্পণে আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা সাড়া না দিলে প্রয়োজনে ভবন ভেঙে অভিযান পরিচালনা করা হবে।'
এর আগে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে 'আতিয়া মহল' নামের পাঁচতলা ভবনটি ঘিরে রাখে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাড়িটির প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, ওই বাড়ির নিচতলায় অবস্থান করছেন নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা মুসাসহ চার জঙ্গি।
শুক্রবার দিনভর পুলিশ জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে তারা সাড়া না দিয়ে গ্রেনেড ছুড়ে মারে। এরপর আজ শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় সেনা বাহিনীর প্যারা কমান্ডো বাহিনীর নেতৃত্বে 'অপারেশন টোয়াইলাইট' শুরু হয়। প্রবল ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যেই এ অভিযান চলছে।
অভিযান তত্ত্বাবধান করছেন সেনা বাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন। প্যারা কমান্ডো দলের সঙ্গে অভিযানে সহযোগিতা করছে সোয়াত ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। চূড়ান্ত অভিযানের আগে সকাল ৭টার দিকে জঙ্গি আস্তানার আশপাশ থেকে লোকজন এবং সাংবাদিকদের এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দেয়া হয়।
২৫ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস