নিউজ ডেস্ক: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) একটি অনুষ্ঠান চলাকালে লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে পেছেন থেকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এ আটকে রাখা হয়েছে। এখনও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে এ হামলা চালানো হয়। অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল বক্তব্য দিচ্ছেলেন। এ সময় পেছন থেকে তার মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটকে পিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটক করে রেখেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে তিনি মরার মতো পড়ে আছেন। কোনো কথারই জবাব দিচ্ছেন না।
আহতাবস্থায় জাফর ইকবালকে সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক জানান, তার মাথার পেছনে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার জ্ঞান আছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, মঞ্চের পেছন থেকে এসে এক ছেলে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশসহ অন্যরা তাকে আটক করে। হামলাকারী ছেলের বয়স আনুমানিক ২৪ থেকে ২৭ বছর হবে। জাফর ইকবালের স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক এ মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছেন। হামলার খবর শুনে তিনি সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন বলে জানান জয়নাল আবেদিন।
কী কারণে জাফর ইকবালের উপর এই হামলা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এদিকে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরেই ড. জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হককে একাধিকবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবরে জঙ্গি সংগঠন আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের পরিচয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হত্যার হুমকির পর জালালাবাদ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এই দম্পতি।
আগের বছর ২০১৫ সালে শাবিপ্রবিতে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে সস্ত্রীক সক্রিয় ছিলেন তিনি। সেসময় তার স্ত্রীসহ অন্য শিক্ষকরা ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস