সিলেট থেকে : বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার বেশ আগে থেকেই তার পেছনে দাঁড়িয়েছিল হামলাকারী যুবক।
ঘটনার পরপরই তাকে আটক করা হয়। পরে অনুসন্ধান করে ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর তোলা ছবির সঙ্গে হামলাকারীর ছবি মিলিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে, বৃষ্টির আশঙ্কায় সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে পাঁচ মিনিটের জন্য বিরতি দেওয়া হয়েছিল।
অনুষ্ঠান বিরতির ওই সময়েই বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়। এ দাবি করেছেন দুই প্রত্যক্ষদর্শী। রুহুল আমিন ও খলিলুর রহমান নামের ওই দুই তরুণ ড. জাফর ইকবালকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
ওই দুই তরুণ দাবি করেন, বৃষ্টি হতে পারে –এমন আশঙ্কায় পাঁচ মিনিটের জন্য অনুষ্ঠান বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ৮-১০ জন পুলিশের পাহারায় ছিলেন। আর ওই অবস্থায়ই পেছন থেকে তার ওপর হামলা হয়।
তারা দাবি করেছেন, হামলাকারীর সংখ্যা দুই থেকে তিন জন ছিল। তারা সবাই যুবক। এদের একজনকে সঙ্গে সঙ্গে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। রুহুল আমিন শাবি ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও খলিলুর রহমান শাবি ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। কিন্তু তাদের কেউ হামলাকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে চিনতে পারেননি।
তবে হামলাকারী একাধিক ছিল নাকি একজনই ড. ইকবালের ওপর হামলা চালিয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই বিরতির সময় ড. জাফর ইকবালের পেছনে একটি হট্টগোল হয়েছিল। এরপরই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ড. জাফর ইকবালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক।
এমটিনিউজ/এসএস