সিলেট ব্যুরো (সিলেট): সিলেটে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন উপলক্ষে সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সোহরাওয়ারদী।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় সহকারী পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. আনিসুর রহমান।
সভায় মুল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় কর্মকর্তা সজিব চৌহান।
উক্ত সভায় মায়ের দুধ শিশুদের সর্বোৎকৃষ্ট খাবার উল্লেখ করে বলা হয়, মায়ের দুধ সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি বিশেষ আশীর্বাদ। চিকিৎসা বিজ্ঞানও মায়ের দুধকে শিশুদের সর্বোৎকৃষ্ট খাবার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর তার প্রথম খাবারই হচ্ছে মায়ের দুধ। শুধু তাই নয়, শিশু পৃথিবীতে এসে প্রথম মায়ের যে ‘শাল দুধ’ খায়, সেটা হচ্ছে তার সারাজীবনের জন্য রোগ প্রতিষেধক টিকা। আসল কথা হলো, মায়ের দুধের প্রকৃত মূল্যায়ন পৃথিবীর সবকিছুর উর্ধে। শিশুর পুষ্টি, বেঁচে থাকা এবং বেড়ে ওঠার জন্য মায়ের দুধই সর্বোত্তম ভূমিকা রাখে। শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং শিশুদের বিভিন্ন রোগ কমানোর জন্য যেসব জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় যেমন টিকাদান, ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা এবং অপুষ্টি দূরীকরণ এইসব কার্যক্রমের সফলতায় সাহায্য করতে পারে মায়ের দুধ। তাছাড়া, মায়ের দুধ মা ও শিশুর মধ্যে যে মমতার গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলে তা জগতের উর্ধে।
শিশুদের মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত করে গুঁড়ো দুধ খাওয়ানোর ফলে অনেক সময় শিশুদের উপকারের পরিবর্তে অপকারই হচ্ছে বেশি। এই দুধ থেকে শিশুরা নানা অসুখ-বিসুখের শিকার হচ্ছে। তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মায়ের দুধ না খাওয়ানোর জন্য শিশুদের পুষ্টিহীনতা, পড়াশোনায় অনগ্রসরতা, ডায়াবেটিস, মেনিনজাইটিস, ক্যান্সার, এলার্জির মতো রোগও হতে পারে।
এছাড়া মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি গুড়াদুধের অপকারিতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, মাতৃদুগ্ধ সুরক্ষা আইন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন এ কর্মশালার আয়োজন করে।