সিলেট: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজিরবাজার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানকে নিজ মাদরাসার আঙিনায় সমাহিত করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় তাকে লাখো মানুষের উপস্থিতে দাফন করা হয়। এ সময় তার হাজার হাজার ছাত্র ও সহকর্মী কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর আগে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজার নামাজে আগত জনস্রোতের কারণে মাঠ ও আশপাশের রাস্তা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় মুসল্লিদের বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ছাদের ওপর উঠে জানাজার নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।
সিলেটের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা হাবিবুর রহমানের নামাজের জানাজায় ইমামতি করেন তার দ্বিতীয় ছেলে মাওলানা ইউসুফ। প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানকে তার প্রিয় কর্মস্থল কাজিরবাজার মাদরাসা প্রাঙ্গণের এক কোনায় দাফন করা হয়।
প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের জানাজা উপলক্ষে সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনতার ঢল নামে। আলিয়া মাদরাসা মাঠের চারপাশ থেকে লাখ মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার নামাজের আগে মরহুমের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন- বরুনার পীর মাওলানা রশীদুর রহমান ফারুক, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বাবরুল হোসেন বাবলু, মরহুমের বড় ছেলে মাওলানা ছামিউর রহমান মুছা ও জামেয়ার শায়খুল হাদিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ প্রমুখ।
বক্তব্যে তারা বলেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান ছিলেন একজন সংগ্রামী আলেমে দ্বীন ও বহুগুণে গুণান্বিত শ্রদ্ধাভাজন মানুষ। দ্বীনি শিক্ষার প্রচার-প্রসার ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে ইসলামি রাজনৈতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। বক্তারা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। ১৯৪৫ সালে সিলেটের গোলাপগঞ্জে তার জন্ম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমানের গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ঘনশ্যাম গ্রামে।