রাহিব ফয়ছল: আপনি একবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে যাবেন, সেটা যেকোনো সময়ই যান। এদের জন্য সবকটি সময়ই সমান। আপনি চিরুনি অভিযান দিয়েও একটা মানুষকে চোখে অশ্রু ছাড়া পাবেন না।
সবাই যে রোগের যন্ত্রণায় ছটফট করছে এমন?
তা নয়। অনেকে জায়গা পাচ্ছে না। নিচে শুধুমাত্র একটা চাদর বিছিয়ে ফ্লোরে শুয়ে আছে। হাত-পা ভাঙা, নিচে শুয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। কারো কিছু করার নেই, জায়গার অভাব। তারপরও আপনি চাইবেন একটা পুরোনো ছাত্রাবাসকে শুধুমাত্র দেখার জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হোক, আমাদের হাসপাতালের দরকার নাই? দিলাম আপনার বিবেকের উপর।
হ্যা, আপনি অসুস্থ হলে চাইলেই ফাইভ স্টার কোনো হসপিটালে নির্দ্বিধায় মাসব্যাপী শুয়ে থাকতে পারবেন। কিন্তু ওরা এটা পারে না। শত কষ্টের পরও এরা এই ফ্লোরে শুয়েই চিকিৎসা নিতে আসে, আর নিচ্ছেও।
আসুন, সাধারণ মানুষের কথা শুনুন। এই মানুষগুলোর কষ্ট কিছুটা অন্তত লাঘব হলে হয়তো আপনিও প্রশান্তি পাবেন। কি হবে এইসব পুরোনো স্থাপনা দিয়ে? যদি না মানুষ কষ্টতেই থাকলো!
যুক্তিতে আসুন, আপনাদের দাবী- এটি একটি পুরনো ভবন ঐতিহ্যের অংশ তাই এই ভবনটি সংরক্ষণ করা উচিত। এটা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন, ২৫০ শয্যার ‘সিলেট জেলা হাসপাতাল’ তৈরি হলে মিনিমাম ৫০০ মানুষ চিকিৎসা নিতে পারবে। যেমন অন্যান্যগুলোতে হচ্ছে।
মানুষের স্বপক্ষে থেকে জনস্বার্থে কাজ করুন। মানুষ আপনাকে নতমস্তকে সম্মান করবে। আপনি সরকারি এই হাসপাতাল প্রজেক্টে বাধা সৃষ্টি করে কতটা মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করছেন এর হিসাব রাখেন?
কেনো রাখবেন? আপনি তো নিচের দিকে তাকাইতেই পারেন না।
একটাই দাবী আমাদের, সিলেট জেলা হাসপাতালের কাজ দ্রুত শুরু হোক। হাসপাতাল চাই।
লেখক: সিলেট ব্যুরো প্রধান, এমটিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম ও সদস্য, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব।