সিলেট থেকে : সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা এলাকার হাকালুকি হাওর। সৌন্দর্যের পাশাপাশি অপার প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ হাওর। এশিয়ার বৃহত্তম এই হাওরের আয়তন ১৮.১১৫ হেক্টর।
তার মধ্যে শুধু বিলই আছে ৪.৪০০ হেক্টর। ছোট বড় প্রায় শত বিলের এই হাওরে রয়েছে নানা প্রজাতির প্রচুর মাছ। মিঠাপানির এ হাওরের মাছ দেশ বিদেশে রপ্তানি হয়। মাছের জন্য উৎকৃষ্ট প্রজনন ক্ষেত্র এই হাওরে প্রায় অবাধে ধরা পড়ছে নানা জাতের মাছের পোনা।
স্থানীয় মৎসজীবীরা কাপড় জাল নামক এক প্রকার জাল দিয়ে রামাইখান্দি, উলুখাড়া, এওলা বিল ও দুফা বিলে মাছের পোনা ধরছেন অবাধেই। এতে করে ধ্বংস হচ্ছে মাছের বংশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় জেলেরা কয়েকটি নৌকা দিয়ে হাওরের বিশাল এলাকাজুড়ে কাপড় জাল ফেলেছেন। আরও প্রায় ৮ জন জেলে সেই জাল টেনে তীরে ভিড়াচ্ছেন।
জালে বড় মাছের পাশাপাশি প্রচুর পোনা মাছ দেখা যায়। এগুলো এতটাই ছোট যে বাটিতে জড়ো করলে সাদা দইয়ের মত লাগে! দেখে বুঝার উপায় নাই কোনটা কি জাতের পোনা!
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি আহমেদ উল্লাহ বলেন, দেশে মাছ থাকবে কি করে এরা দই পর্যন্ত মেরে শেষ করে ফেলে। নিজের নাম বলতে অসম্মতি জানিয়ে এক জেলে বলেন, এসব দই (পোনা) মাছের চাহিদা বেশি। পয়সাওয়ালা লোকজন শখ করে কিনেন। দামও ভাল পাওয়া যায়।
তিনি এসব দই মারা ঠিক নয় স্বীকার করে বলেন, আমরা ৮-১০ জনের একটি দল। দল আমার মতে তো চলে না। এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিন বলেন, পোনা মাছ ধরা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।