সিলেট: বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিদেশগামীদের কাছে ভু'য়া ‘করোনা নেগেটিভ’ সনদ বিক্রি করা সিলেটের সেই চিকিৎসক শাহ আলম করোনায় আক্রা'ন্ত। প্র'তারণার দায়ে গ্রে'ফতার হয়ে চার মাসের সাজা পাওয়ার একদিনের মাথায় ওই চিকিৎসকের শরীরে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস শনা'ক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় দ'ফায় ডা. শাহ আলমের করোনা শ'নাক্তের তথ্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার পরিচয় দিয়ে (সরকারি চিকিৎসকের ভু'য়া পদবি) করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই ভু'য়া করোনা নেগেটিভ স'নদ প্রদানের অভি'যোগ ওঠে ওই চিকিৎসকের বিরু'দ্ধে। রোববার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় র্যাবের হাতে গ্রে'ফতার হন তিনি।
শনিবার (১৮ জুলাই) তার শরীরের নমুনা সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য দিলে সোমবার (২০ জুলাই) রাতে পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে। এর আগে গত ১৩ জুলাই প্রথমবার করোনা পরীক্ষায় ডা. শাহ আলমের করোনা শনা'ক্ত হয়। করোনা রোগী শ'নাক্ত হওয়ার পরও তিনি নগরের মধুশহীদ এলাকায় ঢাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচ তলায় রোগী দেখতেন। এছাড়া বিদেশগামী যাত্রীদের কাছে ভু'য়া ‘করোনা নেগেটিভ’ সনদ বিক্রি করে আসছিলেন।
শাহ আলম করোনা রোগী হয়েও প্রতিদিন চেম্বারে রোগী দেখেন। একজন চিকিৎসকের এমন আচরণে আ'তঙ্কের পাশাপাশি তাকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে এখন সর্বত্র। চ'রম উৎ'কণ্ঠায় আছেন তার সংস্পর্শে আসা মানুষজন।