রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৬, ০৭:১৫:০১

ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হচ্ছেন আফগান-ইরাক যুদ্ধের বিতর্কিত সেই জেনারেল!

ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হচ্ছেন আফগান-ইরাক যুদ্ধের বিতর্কিত সেই জেনারেল!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার চারপাশে কাদের রাখতে চাইছেন তা নিয়ে রিপাবলিকান শিবিরে জোর আলোচনা চলছে। নির্বাচনী প্রচারের সময় বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা ট্রাম্পের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন। এখন সুযোগ আসার পর ট্রাম্প পাল্টা একহাত নেবেন কি না তা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

শোনা যাচ্ছে, আফগান ও ইরাক যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা অবসরপ্রাপ্ত নৌ কর্মকর্তা জেনারেল জেমস ম্যাটিস ট্রাম্প প্রশাসনে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন। চলমান ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। আফগান ও ইরাক আগ্রাসনে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাটিস।

মার্কিন নৌবাহিনীতে ৪৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন ম্যাটিস। ২০০১ সালে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে কম্ব্যাট কমান্ডার হিসেবে একটি টাস্কফোর্সকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। পরে ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় একটি মেরিন ডিভিশনেরও নেতৃত্ব দেন ম্যাটিস।

মন্ত্রী ও হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাসহ প্রায় চার হাজার সরকারি পদে নিয়োগ দেবেন ট্রাম্প। বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠরা সুযোগ পাবেন এটাই স্বাভাবিক। জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে কাজে নেমে গেছে ট্রাম্প বাহিনী।

সম্প্রতি সম্ভাব্য প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তালিকায় আলাবামার সিনেটর জেফ সেশনসকে এগিয়ে রেখেছিল সিএনএন, পলিটিকো এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস তিনটি সংবাদমাধ্যমই। তবে শুক্রবার জেফ সেশনসকে অ্যাটর্নি জেনারেল ঘোষণা করেন ট্রাম্প। আর তাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয় জল্পনা।

সিএনএন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস সেশনস-এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে টম কটন, ডানকান হান্টার এবং জন কিল-এ চারজনের নামও সম্ভাব্যের তালিকায় রেখেছিল। এছাড়া নিউ ইয়র্ক টাইমসের তালিকায় স্টিফেন জে হাডলি সিএনএন-এর তালিকায় জিম টালেন্ট এর নাম সম্ভাব্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আলাদা করে যুক্ত হয়। তবে রবিবার (২০ নভেম্বর) সিএনএন-এ বলছে ভিন্ন কথা। জানানো হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ম্যাটিস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার বিকেলে নিউ জার্সির বেডমিনস্টারে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও ম্যাটিস। বৈঠকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে সিএনএন-এর কাছে দাবি করেছেন ওই সূত্র। সেইসঙ্গে ম্যাটিসকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে তিনি শুনেছেন বলেও দাবি করেন। সিএনএন-এর সূত্র আরও জানিয়েছেন, ম্যাটিসকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হচ্ছে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ট্রাম্প তার ওপর খুব খুশি।

এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান মাইকেল ফ্লিনকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে দেখা যেতে পারে। ট্রাম্পের বেশির ভাগ প্রচার সমাবেশে প্রথম বক্তা ছিলেন তিনি। পররাষ্ট্রনীতি বিষয়েও ট্রাম্প তার ওপর অনেকখানি নির্ভর করেন বলে জানা যায়।

২০ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে