আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাসের প্রথম সপ্তাহ পার হলেও টাকার দেখা নেই এটিএমে! সেই সুযোগে এটিএমের দরজা দখল করে বসেছে অস্থায়ী দোকান! মঙ্গলবার এমনই চিত্র দেখা গেল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া ময়দান এলাকায়।
বাঙালবাবু ব্রিজ থেকে মল্লিক ফটক পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ক মিলিয়ে প্রায় ১০টি এটিএম রয়েছে। যার মধ্যে দু’টি এটিএমে টাকা দেখা গিয়েছে এদিন! আর দু’টিতেই ২০০০ টাকার নোট।
স্থানীয় বাসিন্দা পবন সাউ বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কে লম্বা লাইন। এটিএমেও টাকা নেই। তাছাড়া ২০০০ টাকার নোট নিলেও সমস্যা। কেউ ভাঙিয়ে দিচ্ছে না।’’
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, এদিন রাতে ৩৯০ কোটি টাকা ঢুকেছে রাজ্যে। যার মধ্যে ২৮০ কোটি টাকা এসেছে ১০০ টাকার নোটে। ৫০০ টাকার নোটে এসেছে ৫০ কোটি টাকা। ২০০০ টাকার নোটে ৬০ কোটি টাকা এ রাজ্যে এসেছে।
এরইমধ্যে নজর কেড়েছে হাওড়া জি টি রোডের উপর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মাসের প্রথম দিন থেকে ওই এটিএমে টাকার দেখা মেলেনি। এক সপ্তাহ ধরে বন্ধই রয়েছে। আর তারই সুযোগে এটিএমের দরজা দখল বসে গিয়েছে জামাকাপড়ের দোকান!
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘যার জন্য এটিএম, তারই দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সুযোগ তুলছে অন্য কেউ। এক সপ্তাহ হল এটিএমের দরজার সামনে জামাকাপড়ের ব্যবসা শুরু হয়েছে।’’
অভিযোগ, হাওড়া ময়দান এলাকার অনেক ব্যাঙ্কই এদিন গ্রাহকদের সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা দিতে পারেনি। ওই চত্বরে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে। সেগুলিতে এদিন সকাল থেকে লাইন দেখা গিয়েছে। টাকা তোলার জন্য মল্লিক ফটকের মোড়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে সকাল ৮টায় লাইন দিয়েছিলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুমিত সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘অফিস যাতে কামাই না হয়, সেজন্য সকালে লাইন দিয়েছিলাম। কিন্তু টাকা হাতে পেতে ১২টা বেজে গেল। আবার টাকা না তুললে সংসার চলবে কী ভাবে!’’
সম্প্রতি, টাকা না পাওয়ার কারণে কয়েকজায়গায় ব্যাঙ্ক, এটিএম ভাঙচুর হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে হাওড়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যাঙ্ক এবং এটিএমের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যে সমস্ত এলাকায় গ্রাহকদের চাপ রয়েছে সেখানে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।’’ -এবেলা।
০৭ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম