আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের সামরিক বাহিনী বলছে, কাসেরি শহরে এক বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো প্রায় ৪৮ জন। সামরিক বাহিনী সন্দেহ করছে গাড়ি-বোমার সাহায্যে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
মধ্যাঞ্চলীয় কাসেরি শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সামরিক বাহিনীর সৈন্যদের বহনকারী একটি বাসের ওপর এই হামলা চালানো হলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলছেন, এতে বেসামরিক লোকজনও হতাহত হয়ে থাকতে পারেন।
তুর্কী টেলিভিশনে প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, বাসটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। বাসটির একটা পাশ উড়ে গিয়ে সেখানে বিশাল এক গর্তের মতো সৃষ্টি হয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে ইস্তাম্বুলে চালানো এক জোড়া-বোমা হামলায় ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলো।
কুর্দি জঙ্গিরা ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। খবরে বলা হচ্ছে, সবশেষ কাসেরি শহরে এই বিস্ফোরণের খবরাখবর প্রচারে সরকারের পক্ষ থেকে সাময়িক কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
বার্তা সংস্থা এপি বলছে, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জনগণের মধ্যে 'ভীতির সঞ্চার' এবং 'বিশৃঙ্খলা' সৃষ্টি করতে পারে এরকম কিছু প্রচার না করার আহবান জানানো হয়েছে।
গত বছরেও এই জঙ্গিরা তুরস্কের সামরিক ও পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা পরিচালনা করেছে। তথাকথিত ইসলামিক স্টেটও তুরস্কে বোমা হামলা চালিয়েছে। তবে তাদের হামলা ছিলো মূলত রাস্তা ঘাটে, যাতে বেসামরিক লোকজন প্রাণ হারিয়েছেন।
আজকের হামলার পর তুরস্কের ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইস্তাম্বুলের হামলার সাথে সর্বশেষ এই হামলার ঘটনার মিল আছে। প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে হামলার কথা জানানো হয়েছে। হামলার পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাসেরি শহরের পথে রওনা দিয়েছেন।
১৭ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস