আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২৮ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে ‘নোটবাতিল’-এ মোদির নেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমা। আর এই দিনেই ফের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে পথে নামার পরিকল্পনা এঁটেছে বিরোধীরা। বিশেষ করে কংগ্রেস এই বিরোধিতা কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা চাইছে যাতে ‘নোটবাতিল’ নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে। এর জন্য বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে তৎপরতাও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই উপলক্ষে ২৭ ডিসেম্বর দিল্লিতে একটি বৈঠকের আহ্বান করেছে কংগ্রেস। যেখানে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকের সভাপতিত্ব করার কথা রাহুল গান্ধীর। এই বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল সূত্রে যা খবর তাতে সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। তৃণমূলনেত্রী ভেবেছিলেন এই বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রতিনিধিত্ব করবেন।
রোজভ্যালি-কাণ্ডে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআই নোটিস দেওয়ায় ক্ষিপ্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মনে হচ্ছে ‘নোটবাতিল’-এর বিরোধিতা করায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এমনকী, যেভাবে কলকাতায় আয়কর দফতরের হামলায় সিআরপি বাহিনীকে সংযুক্ত করা হয়েছে তাতেও খেপেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে চিঠিও দিয়েছেন মমতা। তাই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এবং সেইসঙ্গে ‘নোটবাতিল’-এর ৫০ দিনের সময়সীমা শেষ হওয়ার বিষয়টিকেও মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর। যদিও বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে দলীয় বৈঠক সেরে বেরোনোর পথে দিল্লি যাওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বয়ং মমতা বলেছেন, ‘গেলে জানাব!’
কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি চাইছে ‘নোটবাতিল’-এর ৫০ দিন পূর্তিতে দেশের সমস্ত বড় শহগুলিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হোক। এই বিষয়গুলি নিয়েই সোমবারের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। -এবেলা।
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম