শুক্রবার, ০৫ মে, ২০১৭, ০৮:১২:৫৭

জীবাণু অস্ত্র দিয়ে কিমকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সিআইএ: উত্তর কোরিয়া

জীবাণু অস্ত্র দিয়ে কিমকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সিআইএ: উত্তর কোরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনকে জীবাণু অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অজ্ঞাত জীবাণু অস্ত্র দিয়ে কিমকে হত্যার এ প্রচেষ্টা চালানো হয়। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, কিমকে হত্যার জন্য সিআইএ এক উত্তর কোরীয় নাগরিককে অর্থ দেয়। কিমের বাবা ও দাদার সমাধিস্থলে অথবা সামরিক প্যারেডে কিমকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে যখন কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন সিআইএর-র বিরুদ্ধে কিমকে হত্যার ষড়যন্ত্রের এ অভিযোগ করল পিয়ংইয়ং।

গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, সিআইএ-র বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার এই অভিযোগ যাচাই করে সত্যতা নিশ্চিত করা কঠিন। কারণ উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম সরকার নিয়ন্ত্রিত এবং প্রায়ই দেশটির নেতার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য খবর প্রকাশ করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের হত্যার ইতিহাস রয়েছে সিআইএ-র।

উত্তর কোরীয় মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘৃণিত এই ষড়যন্ত্রটি সম্প্রতি উন্মোচন করা হয়েছে এবং  তা নস্যাৎ করা হয়েছে। এটা শুধু উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নয় বরং তা ন্যায় বিচার, মানবজাতির বিবেক ও ভবিষ্যতের ওপর সন্ত্রাসী হামলার মতো ঘটনা।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, টার্গেট ব্যক্তির কাছাকাছি না গিয়ে হত্যার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে জীবাণু (বায়োকেমিক্যাল) অস্ত্রসহ রেডিওঅ্যাক্টিভ ও বিষাক্ত ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করা। কিমকে হত্যার জন্য ওই কোরীয় ব্যক্তিকে ৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার অর্থ দিয়েছে সিআইএ। এছাড়া ওই ব্যক্তি স্যাটেলাইট রিসিভার, সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। তবে কিভাবে হত্যার ষড়যন্ত্রটি উন্মোচন করা হয়েছে তা বিস্তারিত জানানো হয়নি বিবৃতিতে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম এবং তার প্রয়াত বাবাকে হত্যার একাধিক ষড়যন্ত্রের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরাই এসব হামলা চালিয়েছেন। বিশেষ করে অসন্তুষ্ট সেনা ও কর্মকর্তারা। সূত্র: গার্ডিয়ান।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে